মাদক ব্যবসায়ীরা ইয়াবা কেনাবেচায় কৌশল পরিবর্তন করে প্রতিনিয়ত। সম্প্রতি টেকনাফ ইয়াবা রাজ্যকে হার মানিয়ছে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের পাহাড়ী জনপদের সড়কটি ।
সীমান্তের বিজিবির বিওপি এবং উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হয়েছে চৌকি আর এদিকে পুলিশের অভিযান ও টহল জোরদার করা পরও চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিনিয়ত কৌশল বদলিয়ে ঢুকছে ইয়াবা।
এরপরও বিজিবি এবং পুলিশের পৃথক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ফুলতলী এলাকা থেকে ১৩ ঘন্টার ব্যবধানে আবারও পুলিশের বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৪৮ হাজার ৭শ পিস ইয়াবাসহ ১ মাদককারবারিকে আটক করা হয়। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ১কোটি ৪৬ লাখ ১০হাজার টাকা।
আটককৃত ব্যক্তি হলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দৌছড়ি ইউনিয়নের লেমুছড়ি গ্রামের ৬নং ওয়ার্ডের হাজীর মাঠ এলাকার মৃত নুরুল হকের ছেলে আজিজুল মোস্তাফা ওরফে মনিয়া (২৫)।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন।
আর এদিকে পুলিশ জানান, বৃহস্পতিবার একি দিনে অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ভোর সাড়ে ৫টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভাল্লুখ্যাইয়া এলাকা থেকে ৪৯ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুই মাদককারবারিকে আটক করতে সক্ষম হয়।
যার বাজার মূল্য আনুমানিক ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার ফের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফুলতলী এলাকায় অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আলমগীর হোসের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সের নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে ৪৮ হাজার ৭শ পিস ইয়াবাসহ ১ মাদককারবারিকে আটক করতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবার বাজার মূল্য আনুমানিক ১ কোটি ৪৬ লাখ ১০হাজার টাকা বলে জানান।
রিদুয়ানুল কাশেম রকি
টেকনাফ প্রতিনিধি