বিলাল মাহিনী
নতুনের মধ্যে শুধুই জরা
খরা মরীচিকা
অবিশ্বাস অভিলাষ অভিমান।
পুরনোতে আছে সুখ-সাচ্ছন্দ্য
অনাবিল আনন্দ।
সাময়িক সুখের স্বপ্নদর্শী হতে গিয়ে
আলেয়ার পিছু হেঁটেছি বহুদূর
বঞ্চিত করেছি নিজেকে,
শত অভিলাষ ইচ্ছেদের হত্যা করেছি নিজ হস্তে,
তখন সময় ছিলো, ছিলো না অর্থ
তবু মাটির কুঁড়ে ঘরে প্রশান্তির নহর বইতো।
এরপর… অর্থ-কড়ি জুটলো,
কংক্রিটের প্রাসাদ তুলতে গিয়ে হারিয়ে ফেলেছি সুখের সময় ও অনুভূতি।
রঙিন ভবিষ্যতের জন্য
নিজেকে বিসর্জন দিয়েছি
খুঁজে দেখিনি অতীত-বর্তমানের রূপ রস গন্ধ,
অনুভব করিনি নিজ হৃদয়ের ব্যকুলতা,
জীবনের অসীম প্রাপ্তীর ঢেউয়েরা ফিরে যায় নীরব বেদনায়,
স্বার্থের দুনিয়ার বস্তাপচা অভিজ্ঞতা মাথায় নিয়ে চলছি অনিশ্চিতের পথে।
আসলে কেউ কারো নয়
সব-ই অভিনয়,
এখন আর কেউ কষ্ট করতে চায় না,
কিন্তু সময় গেলে সাধন হবে না।
সামনে কঠিন সময়
মাড়িয়ে চলতে হবে, করতে হবে জয়।
জীবনের ছন্দ আর নৃত্যগুলো
স্বচ্ছ শৈশব এখানো ক্যানভাসে ভাসে।
চেয়েছিলাম জীবনের স্বপ্ন আঁকতে
ইচ্ছের রঙ তুলিতে; কিন্তু..!
এখনো যৌবন আসে অপ্রতিরোধ্য গতিতে, দুপুর বিকেল সান্ধ্য বা রাতে,
অতীতে ফিরলে শুধু স্মৃতিরা গোঙায়।
এখনো মাথা তুলতে চায় খর্বকায় পথিকের কঙ্কাল,
শীর্ণ বৃক্ষসম মাথার কেশ
শরীর মন।
বিবর্ণ আকাশ চারিদিকে ঘোরে
কখনো ফ্যাকাশে, কখনো কালোমেঘে।
এখন ভেবে ভেবে নিজেকে চাবুক মারি, কেনো নিজেকে বঞ্চিত করেছি শতবার!