হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার কমলপুর গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার মেয়ে ইয়াসমিন বেগম। তাকে গত ২৭ সেপ্টেম্বর গৃহকর্মীর কাজ দিয়ে সৌদিতে পাঠায় ঢাকার আরামবাগ এলাকায় অবস্থিত শান ওভারসিস নামের একটি রিক্রুটিং এজেন্সি।
ইয়াসমিন তিন দিন আগে রিয়াদ থেকে ইমোতে বাবা কুদ্দুসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময় তিনি জানান, তাকে সৌদির আরবের রিয়াদে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। এ নির্যাতন তিনি সহ্য করতে পারছেন না। তাকে সেখান থেকে যেন উদ্ধার করে আনা হয়। ইমোতে ফোন করে কথাগুলো বলছিলেন গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে সৌদিতে যাওয়া ইয়াসমিন বেগম (১৯)। এ বিষয়ে গত রোববার প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে মেয়েটির পরিবার।
ইয়াসমিনকে সৌদিতে পাঠানো দালালের নাম কাশেম মিয়ার। তিনি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার আমতলী এলাকার বাসিন্দা। কাশেমই ইয়াসমিনকে ঢাকার শান ওভারসিসের মাধ্যমে সৌদি পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু ইয়াসমিনের পরিবার তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে কাশেম বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন।
ইয়াসমিনের বাবা কুদ্দুস মিয়া বলেন, মেয়েকে রিয়াদের একটি নির্জন স্থানে আটকে রেখ শারীরিক নির্যাতন করা হচ্ছে। যে কাজের কথা বলে নিয়ে যাওয়া হয়, সেই কাজ না দিয়ে নানা অবৈধ কাজে তাকে জড়িত করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে।
মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মাইনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, অভিযোগ পেয়েছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত স্থানীয় দালাল কাশেম স্বীকার করেছেন, তার মাধ্যমে মেয়েটিকে সৌদিতে পাঠানোর কথা।