Monday, December 23, 2024
Homeজাতীয়রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ দালাল আটক, দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের শাস্তির দাবি

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ দালাল আটক, দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের শাস্তির দাবি


রংপুর জেলা প্রতিনিধি

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দুইভাইকে মারধরের একদিন পরেই মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাসপাতাল থেকে ১০ দালালকে আটক করেছে। দালাল আটকের ঘটনায় খুশি হতে পারেননি অনেকে। কারণ দালালচক্রের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত হাসপাতালের কর্মচারীরা। তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেয়ায় সচেতন মহলে ক্ষোভ রয়েছে।

এদিকে, দুই শিক্ষার্থীকে মারধর ও দুনীতিবাজ কর্মচারীদের শাস্তি ও রমেক হাসপাতাল রক্ষার দাবিতে সোমবার (১৪ জুন) হাসপাতাল অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে প্রতিবাদী রংপুর বাঁচাও নামে একটি সংগঠন।

মায়ের চিকিকৎসার জন্য রংপুর মেডিকেলে এসে কর্মচারী ও দালালদের হাতে মার খেয়ে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের আহত হওয়ার ঘটনার পর নড়েচরে বসেছে পুলিশ। রবিবার সকালে ডিবি পুলিশ সাড়াশি অভিযান চালিয়ে হাসপাতাল এলাকা থেকে ১০ দালালকে আটক করে।

মেট্রোপলিন পুলিশের সহকারি কমিশনার (ডিবি এন্ড মিডিয়া) ফারুক আহমেদ জানান, রমেক হাসপাতাল থেকে ১০ দালালকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মেট্রোপলিটন আইনে মামলা করা হয়েছে। দালাল নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে শুধু দালাল ধরে রমেক হাসপাতালের অপরাধ নির্মূল করা যাবেনা বলে মনে করছেন অনেকেই। বেরোবির শিক্ষার্থী মাহাফুজুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে মারপিটের ঘটনার সাথে সরসরি জড়িত হাসপাতালের কর্মচারীরা। তাদের না ধরে দালাল ধরে অপরাধ দমন করা সম্ভব নয়। হাসপাতালকে দুর্নীতি মুক্ত করতে আমরা আন্দোলন করবো।
প্রতিবেদক মোঃ আতিকুর রহমান

এদিকে, প্রতিবাদী রংপুর বাঁচাও আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা বেরোবি’র বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদ বলেন, দালাল ধরার পাশাপাশি হাসপাতালের দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের ধরা উচিত। তা না হলে অচিরেই হাসপাতালটির চিকিৎসা সেবা মুখ থুবরে পড়বে।

তিনি আরও বলেন, দুই শিক্ষার্থীকে মারপিট ও রমেক হাসপাতাল রক্ষার দাবিতে আগামীকাল সোমবার বিকেলে ৪টায় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে হাসপাতাল অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। দুই শিক্ষার্থীকে মারপিটের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। আহত দুই শিক্ষার্থী এখনো রমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular