গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে বেপরোয়া উন্মাদের মতো আচরণ করছে। এই সরকারের হাতে দেশের কিংবা বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশীরা কেউ নিরাপদ নয়।’
তিনি বলেন, ‘এতো দিন এইদেশে বিরোধী মতের মানুষের ওপর হামলা মামলা হত, গুম করা হতো। এই সরকারের মন্ত্রীদের পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা মায়ের কান্না নামক সংগঠনের লোক ও আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার সুরক্ষায় কাজ করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের ওপর হামলা করে কয়েকদিন আগে। এর আগেও ২০১৮ সালে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাটের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতারা।’
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিজয় দিবসে দেশের বিভিন্ন স্থানে গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন নুর।
তিনি বলেন, ‘আজকে আওয়ামীলীগ তাদের র্যালীর নামে সারা ঢাকা দখলে নিয়েছে, রাস্তাঘাটে মানুষের সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার কতটা বেপরোয়া হয়েছে, পাড়া, মহল্লায় গুন্ডা, মাস্তান ও সন্ত্রাসীদের টহল দিয়েছে। যাতে সমাবেশে কেউ যোগ না দিতে পারে। এমনি তারা মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা লঙ্ঘন করে মানুষে মোবাইলের গ্যালারিতে থাকা ছবিও চেক করেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আজকে জনগণকে সতর্ক করে দিয়ে বলতে চাই, আওয়ামীলীগ ও তার উচ্ছিষ্ট ভোগীরা অবৈধভাবে ক্ষমতায় দখল করার জন্য যেভাবে বেপরোয়া উন্মাদে পরিণত হয়েছে। জনগণ যদি এদেরকে প্রতিহত করতে না পারে, জনগণ যদি এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারে- তাহলে কেউ বেডরুমেও নিরাপদ না।’
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদ সারাদেশে যখন সুসংগঠিত হচ্ছে, যখন দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য লড়াই করছে, যখন যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষনা দিয়েছে তখন সারাদেশে আমাদের নেতাকর্মীদের ভয় দেখাচ্ছে। বিজয় দিবসেও আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে গণঅধিকার পরিষদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে। সরকার আন্দোলন কে ভয় পেয়ে বিএনপির অফিসে পরিকল্পিত বোমার আটক সাজিয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের আটক করেছে। জামায়ত যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা দেয়ার পর তাদের আমিরকে আটক করেছে, আর এখন পুলিশ বলছে জামায়তের আমির নাকি জঙ্গিবাদের সাথে জড়িত।’
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান খানের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, ফারুক হাসান, সোহরাব হোসন, আবু হানিফ, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদ, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ডাক্তার জাফর প্রমুখ।