Monday, December 23, 2024
Homeআন্তর্জাতিকস্কটল্যান্ডের ফাস্ট মিনিস্টার হলেন মুসলিম নেতা হামজা ইউসুফ।

স্কটল্যান্ডের ফাস্ট মিনিস্টার হলেন মুসলিম নেতা হামজা ইউসুফ।

রাশেদুল হক রিয়াদ (সম্পাদক নবদূত নিউজ চ্যানেল)

স্কটল্যান্ডের ফাস্ট মিনিস্টার হলেন মুসলিম নেতা হামজা ইউসুফ।
পশ্চিম ইউরোপের কোনো দেশের নেতৃত্বে হামজা ইউসুফই হতে যাচ্ছেন প্রথম দক্ষিণ এশীয় ও মুসলিম নেতা।

স্কটল্যান্ডের ক্ষমতাসীন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি)-এর দলীয় প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হামজা ইউসুফ। ফলে তিনিই হতে যাচ্ছেন দেশটির প্রথম মুসলিম এবং সর্বকনিষ্ঠ ফার্স্ট মিনিষ্টার বা মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার নমিনাল ভোটে জয়ী হয়ে এসএনপির দলীয় নেতা নির্বাচিত হন হামজা। পশ্চিম ইউরোপের কোনো দেশের তিনিই হতে যাচ্ছেন প্রথম দক্ষিণ এশীয় ও মুসলিম নেতা। পাশাপাশি, তিনি সর্বকনিষ্ঠ সেতা হিসাবেও রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। ইউসুফ বলেন, এখানে নেতৃত্ব দিতে গায়ের রঙ, ধর্ম-বর্ণ এসব কোনো বাধাই না। দেশের প্রতি আপনার বিশ্বাস ও ভালোবাসা থাকলেই আপনি একজন আদর্শ নেতা হতে পারবেন।
হামজা ইউসুফের জন্ম স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে। পড়ালেখা করেছেন গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাজনীতি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছেন তিনি। এরপর ২০১১ সালে স্কটল্যান্ড পার্লামেন্টের সদস্য (এমএসপি) নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি একজন এমএসপি›র সহযোগী হিসেবেও কাজ করেছেন। ইউসুফের বাবা পাকিস্তানের নাগরিক। ১৯৬০ এর দশকে তিনি স্কটল্যান্ডে পাড়ি জমান। অন্যদিকে, তার মা কেনিয়াতে দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত একটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
ইউসুফ বর্তমানে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করছেন। তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এছাড়া, একজন সৎ কন্যাও রয়েছে নতুন এ দলনেতার। ইউসুফ মনে করেন, স্বাধীন স্কটল্যান্ডে রাজতন্ত্রের অবসান ঘটানোর দিকে নজর দেয়া উচিত। এ বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আসুন, প্রথম পাঁচ বছরের মধ্যেই আমরা বিবেচনা করি, আমাদের রাজতন্ত্রের চেয়ে একজন নির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধান হওয়া যৌক্তিক কি-না।
২০১২ সালে স্কটিশ সরকারের একজন জুনিয়র মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন ইউসুফ। সেই সময়ে স্কটল্যান্ডে নিযুক্ত হওয়া সর্বকনিষ্ঠ এবং প্রথম জাতিগত সংখ্যালঘু মুসলিম মন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০১৮ সালে বিচার বিষয়ক সচিব (সেক্রেটারি ফর জাস্টিস) হয়ে মন্ত্রিসভায় যোগ দেন এবং ২০২১ সালের মে মাসে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদে নিযুক্ত হন।
তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদে যোগ দেওয়ার পর বেশ সমালোচনার মুখে পড়েন ইউসুফ। গত মাসে অডিট স্কটল্যান্ড জানায়, এ সময়ের মধ্যে দেশটির স্বাস্থ্যসেবা খাত অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে কতটুকু অগ্রগতি হচ্ছে বা হচ্ছে না, সে সম্পর্কে স্কটিশ সরকারকে আরও স্বচ্ছ হওয়া আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

RELATED ARTICLES

Most Popular