সাভারে কর্মরত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে তাঁর বাসা থেকে আজ বুধবার ভোরে সিআইডির পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে। সিআইডির পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিরা সাধারণ পোশাকে ছিলেন।
এ ঘটনাকে বাক্স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর চরম আঘাত বলে মনে করে গণঅধিকার পরিষদ। এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দলটির নেতারা। তাঁরা অবিলম্বে শামসুজ্জামানের মুক্তি দাবি করেছেন।
এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড.রেজা কিবরিয়া ও সদস্যসচিব নুরুলহক নুর।
এক যৌথ বিবৃতিতে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব বলেন, “৫৩ তম স্বাধীনতা দিবসে বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের দুঃখ-কষ্ট তুলে ধরে প্রকৃত সংবাদ তুলে ধরায় সরকারি মহল সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসের উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয় ক্যাডারের মতো ব্যবহার করে মধ্যরাতে বাসা থেকে তুলে নেয়ায়। মধ্যরাতে এভাবে মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা ব্যতীত একজন সাংবাদিককে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যাওয়া দেশের আইন,সংবিধান মানবাধিকার পরিপন্থী কাজ। এ ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হয় সরকার নিজেদের দুর্নীতি,দুঃশাসন আড়াল করতে মুক্ত সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছ।যা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অস্তিত্বকে হুমকিতে ফেলবে।
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, কর্তৃত্ববাদী সরকার দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করতে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের নির্যাতন-নিপীড়নের পাশাপাশি নাগরিক সমাজ,গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমে কর্মীদের টুটি চেপে ধরতেই এ ধরণের জঘন্য কাজ করছ।অনতিবিলম্বে সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে নিঃশর্ত মুক্তি ও ডিজিট্যাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের হয়রানি বন্ধ করে গণমাধ্যমে কর্মীদের সুরক্ষা ও মুক্ত সাংবাদিকতার পথ নিশ্চিত করতে হবে।একই সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও সংবিধান ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে বেআইনী, নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই।