ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘঠনা ঘটেছে। এতে ছাত্রদলের কমপক্ষে ৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
সোমবার রাত ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেলের বহির্বিভাগের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় কেন্দ্রীয় ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক মানসুরা আলম, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহম্মেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ সাধারণ সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মেহেদী হাসান, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের কর্মী আব্দুল্লাহেল কাফি গুরুতর আহত হন।
আহতদের প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজে এবং পরে কাকরাইলের ইসলামিয়া হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের চিকিৎসা চলছিল। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল রানা বলেন, আমরা ইফতারের পর মেডিকেলের বহির্বিভাগের সামনে আড্ডা দিচ্ছিলাম। হুট করে তারা মটর সাইকেলে এসে কোন কথাবার্তা ছাড়াই অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমাদের ৫ জন আহত হয়। তারা যে কয়জনকে মেরেছে শুধু মাথার দিকে টার্গেট করে মেরেছে। আমরা মেডিকেলের ভিতরে ঢুকেছি সেখানে ঢুকেও তারা মেরেছে। তারা সবাই সৈকতের অনুসারী।
হামলায় জসিমউদদীন হল সংসদের সাবেক জিএস ইমাম হাসান, সূর্যসেন হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান শাহীন, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সাংগঠনিক সম্পাদক তোফায়েল, সমাজসেবা সম্পাদক আশিক আকাশ, মুহসিন হলের মেহেদী, সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শৈশব খান সহ ৮-১০ জন অংশ নেয় বলে জানান আহত ছাত্রদলের নেতারা।
হামলার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল বলেন, সৈকতের কর্মীরা ৫-৬ টি বাইকে এসে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে আমাদের উপর হামলা করেছে। আহত মেহেদী ও রাজুর দশটা করে সেলাই লেগেছে। পুরো মুখে এবং দাতে আঘাত করা হয়েছে। আমাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্য তারা আমাদের উপর হামলা করেছে। আমাদের কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক মানসুরা আলম দুই কানেই শুনতে পাচ্ছে না।
তিনি বলেন, ছাত্রদল ক্যাম্পাসে সহাবস্থান চায়। আমরা ক্যাম্পাসে কোন ধরনের অরাজকতা চাইনা। ছাত্রলীগ এখন আর ছাত্রসংগঠন নেই, ছাত্রলীগ এখন সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে৷ এই হামলা সেটাই প্রমাণ করে।