Saturday, September 21, 2024
Homeমতামত৭ দলীয় জোট "গণতন্ত্র মঞ্চ" থেকে বের হয়ে আসার যৌক্তিকতা!

৭ দলীয় জোট “গণতন্ত্র মঞ্চ” থেকে বের হয়ে আসার যৌক্তিকতা!

এসএম নুরে এরশাদ সিদ্দিকী

রাজনৈতিক দল হিসেবে গণঅধিকার পরিষদ-এর বয়স দেড় বছর পেরিয়েছে। এতো অল্প সময়ে ৫৩ টি জেলা কমিটি, ২ টি মহানগর কমিটি এবং ২৫০ টিরও বেশী উপজেলা কমিটি হয়েছে। এখন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনের কাজ চলছে। প্রাথমিক হিসাবমতে, এই কমিটি গঠনের কাজ সারাদেশে শেষ হওয়া এবং কাউন্সিলের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কাজ সম্পন্ন করতে আরো ৩-৪ বছর সময় লেগে যেতে পারে। আমরা আশাবাদী এজন্য যে, আমাদের রয়েছে তারুণ্য শক্তি তথা বন্ধু প্রতীম সংগঠন ‘ছাত্র অধিকার ও শ্রমিক অধিকার পরিষদ’; অঙ্গ/সহযোগী সংগঠন ‘যুব অধিকার, নারী অধিকার ও পেশাজীবী অধিকার পরিষদ’; ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ‘প্রবাসী অধিকার ও আইনজীবী অধিকার পরিষদ’! ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবন্ধনের দৌড়ে প্রাথমিকভাবে এগিয়ে আছে দলটি; নিবন্ধনের তৃতীয় পর্যায়ের কাজে ২৪ টি জেলা ও ১০৩ টি উপজেলা জোরালো ভূমিকা রাখছে। দেড় বছরে দলের নিজস্ব কলেবর বাড়ছে; আরো বাড়বে বলে আশা করি।

এবার আসি, রাজনৈতিক কার্যক্রমের হিস্যাতে। দেড় বছরে অঙ্গ, সহযোগী, বন্ধুপ্রতীম ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন মিলে গণঅধিকার পরিষদ রাজপথে প্রোগ্রাম করেছে ৬০ টিরও উপরে অর্থাৎ প্রতিমাসে গড়ে ৩ টিরও বেশী। দলটি এক সপ্তাহ প্রোগ্রাম না করলে জনগণের মনে প্রশ্ন উঠে, এর মানে হলো জনগণও গণঅধিকার পরিষদ-এর গণমূখী কর্মসূচি চায়; ফ্যাসিস্ট আমলে অধিকার আদায়ের আন্দোলনে পিপলস্ ভয়েস হিসেবে গণঅধিকার পরিষদ-এর কর্মসূচির সাথে এদেশের জনগণ অভ্যস্ত হয়ে গেছে।

এদিকে ০৮ আগস্ট ২০২২ তারিখে ৭ দলীয় গণতন্ত্র মঞ্চের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়, তন্মধ্যে গণঅধিকার পরিষদ অন্যতম। সমমনা দল বা রাজনৈতিক টার্গেট অভিন্ন হলেই এরকম জোট বা মঞ্চ গড়ে উঠে। কিন্তু জোট রাজনীতিতে কৌশল সবসময় পূর্বনির্ধারিত থাকে না; সম্ভবপরও নয়। তাছাড়া নতুন দল হিসেবে দলেও প্রশ্ন উঠে গণঅধিকার পরিষদ দল হিসেবে নিজেকে কতটুকু সময় দিবে, জোটের রাজনীতিতে কিভাবে সমন্বয় করবে? আবার জোটে থাকা অবস্থাও গণঅধিকার পরিষদ এককভাবে রাজপথে মিছিল-সমাবেশ করে যেখানে দলীয় নেতা-কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা যায়। অর্থাৎ গণঅধিকার পরিষদ দলীয় নেতা-কর্মীদের গণতান্ত্রিক মতামতকে আমলে নিতে চায়। এরই মধ্যে বিএনপি’র নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলনে গণঅধিকার পরিষদ গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শরীক দল হিসেবেও রাজপথে সক্রিয় থাকে। কিন্তু দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ চায় গণঅধিকার পরিষদ চলমান যুগপৎ আন্দোলনে রাজপথে স্বতন্ত্রভাবে আরো বেশী সক্রিয় থাকুক! এজন্য গতকাল (০৬ মে’২৩) শনিবার কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক জরুরী সভায় গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে বের হয়ে আসার সর্বসম্মতিক্রমে একটি সিদ্ধান্ত নেয়। দলটি মনে করে, সারাদেশে দলীয় সাংগঠনিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, নিজস্ব রাজনৈতিক শক্তি বৃদ্ধি ও যুগপৎ আন্দোলনে এককভাবে রাজপথে সক্রিয় থাকতে দলের এই সিদ্ধান্ত ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।


এসএম নুরে এরশাদ সিদ্দিকী
আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
সহকারী আহবায়ক, গণঅধিকার পরিষদ-জিওপি।
সমন্বয়ক, নিবন্ধন কমিটি, জিওপি
সহ-সমন্বয়ক, আইনজীবী অধিকার পরিষদ।

RELATED ARTICLES

Most Popular