শিক্ষকদের ওপর লাঠিচার্জ-হামলা ও অসৌজন্যমূলক আচরণ কাম্য নয়- বিলাল মাহিনী
শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড শিক্ষকরা জাতির অভিভাবকতুল্য। কিন্তু সেখানেও বৈষম্য। মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষক সমাজ। তাঁদের দাবি একটাই, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ। তাঁরা বলছেন, একই কারিকুলাম ও সিলেবাসে পাঠদান করিয়ে সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ শতভাগ উৎসবভাতা, সরকারি নিয়মে চিকিৎসা ও বাড়িভাড়াসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন, কিন্তু বঞ্চিত হচ্ছেন, বেসরকারি (এমপিও) শিক্ষকগণ। তাঁরা বাড়িভাড়া বাবদ এক হাজার টাকা ও চিকিৎসা বাবদ পান মাত্র পাঁচশত টাকা। আর উৎসব ভাতা মূল বেতনের এক চতুর্থাংশ। এমন বৈষম্য মানা যায় না। তাই বৈষম্যমুক্ত শিক্ষার জন্য জাতীয়করণ আবশ্যক। আর এই দাবিতেই প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে হাজার হাজার শিক্ষক আসছেন ঢাকায়। অথচ (১৭ জুলাই) সরকারের পুলিশ বাহিনী সড়ক অবরোধ হচ্ছে এই অজুহাতে শিক্ষকদের সেখান থেকে সরে যেতে বললো। এমনকি সর্বশেষ, তাঁদের ওপর লাঠিচার্জ করলো। যা জাতির জন্য কলঙ্কের বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদগণ ও সচেতন মহল।
তাই শিক্ষক সমাজের দাবি, যে কোনো সমস্যার সমাধন আলোচনার মাধ্যমে সম্ভব। লাঠিচার্জে নয়। শিক্ষকদের সাথে এমন অসৌজন্যমূলক আচরণ থেকে পুলিশ প্রশাসনকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই। একই সাথে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের মাধ্যমে শিক্ষায় বৈষম্য দূর করতে সরকার, শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। সাথে সাথে শিক্ষকদের সাথে অসদাচরণকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
বিলাল হোসেন মাহিনী,
প্রভাষক : গাজীপুর রউফিয়া কামিল মাদরাসা, অভয়নগর, যশোর।
পরীক্ষক : ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।