আজ শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের আয়োজনে ‘বিচারিক হয়রানি এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূস’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, “প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের একজন মানুষ হিসেবে আমি দেখেছি আমার গ্রামের অনেক দরিদ্র ছেলেমেয়েরা গ্রামীন ব্যাংকের শিক্ষা ঋণের কারণে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পেয়েছে,গ্রামের লোকেরা মোবাইলের সুবিধা পেয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনুস ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ,শিক্ষা,নারীর ক্ষমতায়নসহ দেশের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখেন। কিন্তু দুঃখজনক, তার মতো একজন সম্মানিত ব্যক্তিকে সরকার হয়রানি করছে। ড.উনূসকে সুদখোর বলা হচ্ছে; আমাদের আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় মানুষ তো কোনো না সুদের সাথে যুক্ত হয়েছে। মেধাবীরা রাজনীতিতে এগিয়ে না আসায় বাজে মানুষ সমাজ-রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে আছে। তাই দেশের পরিবর্তনের জন্য তরুণদের রাজনীতিতে এগিয়ে আসতে হবে।”
দালালি করে সরকারের সুবিধালাভে সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ড.ইউনুসের বিরুদ্ধে কথা বলা রুচির দুর্ভিক্ষ উল্লেখ করে নুর বলেন, ড.ইউনুসের বিচারিক হয়রানি নিয়ে আমাদের সকলকে সোচ্চার হতে হবে। অন্যথায় আজ ইউনুস,কাল আমি,আপনি সকলেরই এই পরিণতি হতে পারে।
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনুস ব্যক্তি আক্রোশের শিকার।সরকারকে ড.ইউনুসের প্রতি হয়রানি বন্ধের আবেদন জানাচ্ছি।
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, ” দেশের বিচার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে এখন বিচারলীগ তৈরি করছে। যে অব্যবস্থাপনায় শেখ হাসিনা দেশকে রেখে যাচ্ছে তা ঠিক করতে দেশের জনগণকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে।”
সরকারের পক্ষে প্রশংসা করে নাম পরিচয়হীন লেখকদের ৭০০ প্রবন্ধের কথা উল্লেখ করে শহিদুল আলম বলেন এটা আমাদের দৈন্যদশা। ড.মুহাম্মাদ ইউনুস সারা বিশ্বে একজন সম্মানিত ব্যক্তি। দেশের বাইরে গেলে বুঝা যায় আর্ন্তজাতিক অঙ্গণে তিনি কতটা সম্মানিত ।তাকে হয়রানির প্রতিবাদ জানাই,তার প্রতি সব সময় আমার শ্রদ্ধা।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ” বেগম খালেদ জিয়া ও তারেক রহমানের মত একই ভাবে ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও বিচারিক হয়রানির স্বীকার।এর বিরুদ্ধে সকলকে দাঁড়াতে হবে।”
ব্রতীর নির্বাহী পরিচালক শারমিন মুর্শিদ বলেন, ড.ইউনুসের মতো সুদখোর হতে তো আপত্তি নেই।সামাজিক ব্যবসা ধারণার মাধ্যমে যেভাবে সমাজ পরিবর্তন,ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে ড.ইউনুস ভূমিকা রেখেছেন তাতে ড.ইউনুসের মতো সদুখোর হওয়া তো ভালো।”
বিকল্পধারার সভাপতি রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন নুরুল আমিন বেপারী বলেন, ড.ইউনুসের প্রতি সরকার যা করছে তা অন্যায়।যা গত ১৪ বছর ধরে সরকার বিরোধীদের সাথে করে যাচ্ছে।
আলোচনা সভায় পেশাজীবী অধিকার পরিষদের আহবায়ক জাফর মাহমুদের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মু. নিজাম উদ্দিন এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন,গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান,পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, এ্যাডভোকেট খালিদ হোসেন, জনাব এস আলম,জনাব তানভীর ইউসুফ, সাংবাদিক রোকনুজ্জামান, মনিরুল মাওলা।