আশফাকুর রহমান শাওন
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শক্তিকে সংহত করে দেশ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে আহ্বায়ক ও আখতার হোসেনকে সদস্যসচিব করে ৫৫ সদস্যের জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং, রোববার বিকেলে রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এবি পার্টির সহকারী তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ছিলেন। কিছুদিন আগে তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে এবি পার্টি সূত্রে জানা গেছে। নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক। তিনি ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক।
জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিরুপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। অনেকে নতুন এই কমিটিকে স্বাগত জানালেও নাগরিক কমিটি গঠনের লক্ষ্য,উদ্দেশ্য এবং রাজনৈতিক মতাদর্শের অস্পষ্টতা রয়েছে মনে করেন অনেকে।
এব্যাপারে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের নেতা মোঃআবু হানিফ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন- ছাত্র শক্তির আহ্বায়ক আখতার হোসেন , সে এখন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব। নাগরিক কমিটি ঘোষণার সময় আখতার বলেছে এটা রাজনৈতিক প্লাটফর্ম।
আখতার হোসেন রা আবার লেজুড়বৃত্তি রাজনীতি বন্ধ চান। তাহলে রাজনৈতিক প্লাটফর্ম এর সাথে ছাত্র শক্তির সম্পর্ক কি হবে? আর একই সাথে রাজনৈতিক প্লাটফর্মের সদস্য সচিব আবার ছাত্র সংগঠন, ছাত্র শক্তিরও আহবায়ক, বিষয়টা কেমন যেন।
আবু হানিফ বলেন,আমার জানামতে ছাত্র শক্তির কেউ পদত্যাগ করেনি,কিংবা ছাত্র শক্তি কে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিলুপ্তও করেনি। আবার অন্যদিকে অন্য দল বা সংগঠন থেকে যাদের নাগরিক কমিটিতে রাখা হয়েছে তাদের সবার পদত্যাগ নিশ্চিত করার পর এই কমিটিতে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে, বিষয়টা আমার কাছে পরিষ্কার না। তবে তিনি বলেন,যেকোনো ব্যক্তির ইতিবাচক রাজনীতি কে আমি স্বাগত জানাই।
রাজনৈতিক কর্মী মোহাম্মদ দুলাল বলেন, দেশ স্বাধীন করেছে ছাত্র-জনতা সবাই মিলে,ক্রেডিট নেওয়ার চিন্তা করছে একটা সংগঠন বানিয়ে, সেটা হাস্যকর নয় কি? প্রশ্ন করেন তিনি।
বিলাল হোসেন নামের একজন লিখেন, জাতীয় নাগরিক কমিটি যদি কোন রাজনৈতিক দল না হবে, তাহলে রাজনৈতিক নেতাদের দল থেকে পদত্যাগ করে তার পর নাগরিক কমিটির পদ গ্রহণ করতে হবে কেন?
মুজাফফর আলী নামের একজন লিখেন, জাতীয় নাগরিক কমিটি বিপ্লবী স্পিরিটকে ধরে রাখার জন্যে যদি অগ্রদূত হিসেবে কাজ করে তবে এইটা মহৎ একটি কাজ হবে। সফলতা কামনা করি।