গত বছরের মার্চ থেকে এই পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় কার্যত লকডাউন চলছে। কখনও শিথিল কখনও কঠোর এক বছরের লকডাউনে মালয়েশিয়া প্রবাসীরা হয়ে পড়েছে অসহায়। অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এর মধ্যে কাগজপত্র বিহীন প্রবাসীদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। লকডাউনের পাশাপাশি এক বছর ব্যাপি চলছে অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতার। একদিকে কর্মহীন অন্যদিকে গ্রেফতার আতঙ্কে কাগজপত্র বিহীন প্রবাসীরা এক দূর্বীসহ জীবন অতিবাহিত করছে।
হঠাৎ আধাঁরের মধ্যে একটু বেঁচে থাকার আলোর সঞ্চার করেছে মালয়েশিয়া প্রবাসীরা।কাগজপত্র বিহীন প্রবাসীদের দেশে ফেরার পথ অনেক সহজ করে দিয়েছে মালয়েশিয়ান সরকার । কোন প্রকার ইমিগ্রেশন ঝামেলা ছাড়া শুধুমাত্র এয়ারপোর্টে মালয়েশিয়ান ৫০০ রিঙ্গিত জরিমানা দিয়ে দেশে যেতে পারবেন কাগজপত্র বিহীন যেকোনো প্রবাসী।
কিন্তু যেহেতু দীর্ঘ দিন ধরে মালয়েশিয়া প্রবাসীদের কাজ নেই তাই বাংলাদেশে কোয়ারান্টাইন ফি ৭০ হাজার টাকাহোটেল বাবদ ব্যয় করা প্রায় কারো পক্ষে সম্ভব নয় বলে অনেকে দেশে ফিরে আসতে পারছেন না।
মানবিক দৃষ্টি কোন থেকে মালয়েশিয়া সরকার এগিয়ে আসলেও বাংলাদেশ সরকারের অসহযোগিতার জন্য অনেক প্রবাসীরা ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও দেশে ফিরতে পারছেন না।
তাই বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে দেশে ফেরা প্রবাসীদের কোয়ারান্টাইন ফি বাংলাদেশ সরকারকে বহন করার জোর দাবী জানান বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ এর কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম সাফায়েত হোসাইন সহ বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ,মালয়েশিয়া শাখার সকল নেতৃবৃন্দ।
কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম সাফায়েত হোসাইন আরো বলেন,প্রবাসীরা বাঁচলে, বাঁচবে বাংলাদেশের অর্থনীতি। তাই সরকারকে প্রবাসীদের প্রতি নমনীয় হতে অনুরোধ করছি। আমরা প্রবাসীদের অধিকার নিয়ে সব সময় সোচ্চার ছিলাম ভবিষতেও সোচ্চার থাকবো কারন প্রবাসীদের অধিকার আমাদের অঙ্গীকার।