নবদূত রিপোর্ট:
করোনা মোকাবিলায় সকল রাজনৈতিক দল ও সংগঠনকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তেলার আহ্বান জানান ডাকসুর সাবেক ভিপি ও ছাত্র,যুব,শ্রমিক অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক নুরুল হক নুর।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) রাজধানীর ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে রায়ণগঞ্জের সেজান জুস কারখানার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলন বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাত ও ডাকসুর সাবেক ভিপি ছাত্র,যুব,শ্রমিক অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক নুরুলহক নুর।
সংবাদসম্মেলনে বক্তারা জনস্বাস্থ্য ও কোভিড সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের উদাসীনতার সমালোচনা করে সকলের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন নিশ্চিতের দাবি জানান। একইসাথে তথাকথিত লকডাউন না দিয়ে দরিদ্র মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য পৌঁছে দিয়ে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান। একই সাথে মহামারীর মধ্যে ভিন্নমতের উপর দমন-পীড়ন, হামলা-মামলা, গুম,খুনের সমালোচনা করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় সকলকে রাজপথে নামারও আহ্বান জানান।
ডাকসুর সাবেক ভিপি ও ছাত্র,যুব,শ্রমিক অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক নুরুলহক নুর বলেন, একটা ঘটনা ঘটলেই হৈচৈ হয়, পত্রিকা-টেলিভিশনে আলোচনা হয়। তারপর যেই লাউ সে কদু। অর্থাৎ কোন পরিবর্তন হয় না।
রানা প্লাজা,তাজরিন,নিমতলী,চুরিহাট্টার ঘটনার পর গঠিত তদন্তে কমিটি যে সুপারিশ করেছিলো তার কোনটিই বাস্তবায়ন হয়নি। যে কারণে বার বার এমন দুর্ঘটনা ঘটছে।মানুষের জানমালসহ দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে।
তিনি বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কাছে ৮ ডলারের দু’কোটি টিকা থাকলেও সরকার ইগো থেকে নিচ্ছে না,জনগণকে মারছে। অথচ সরকার ১০ ডলারে কিনেও পর্যাপ্ত পাচ্ছে না।সংক্রমণ নিয়ন্ত্রনে সরকারের অব্যবস্থাপনা মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যা গণহত্যার শামিল।
তিনি আরও বলেন, এখনো পর্যন্ত ৩৭ জেলায় আইসিইউ নেই,সব উপজেলায় করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। তাই সব উপজেলায় পরীক্ষার ব্যবস্থা ও প্রত্যেক জেলায় জেলায় আইসিইউ, ভেন্টিলেটর স্থাপনের দাবি জানিয়ে সংক্রমণ মোকাবিলায় সকল রাজনৈতিক দল ও সংগঠনকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তেলারও আহ্বান জানান ডাকসুর সাবেক ভিপি ও ছাত্র,যুব,শ্রমিক অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক নুরুলহক নুর।