নবদূত প্রতিবেদক:
সরল কিন্তু গভীর অভিজ্ঞতার নির্যাসে পরিপূর্ণ তার বক্তব্য। সেই বক্তব্য অন্যদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখায়। এভাবে তিনি হয়ে উঠেছেন আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর। শুধু তাই নয়, গত প্রায় চার দশক ধরে ‘আলোকিত মানুষ চাই’- এই আকাঙ্ক্ষা ও অঙ্গীকারে কাজও করে চলেছেন। বরেণ্য এই ব্যক্তিত্ব আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের ৮২তম জন্মদিন আজ শনিবার।
১৯৩৯ সালের আজকের এ দিনে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ কলকাতার পার্ক সার্কাসে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। তিনি দেশের হাজারো ছাত্রছাত্রীকে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করছেন। গুণী এই মানুষের পৈতৃক নিবাস বাগেরহাটের কচুয়া থানার কামারগাতি গ্রামে।
শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, সংগঠক, টিভি ব্যক্তিত্ব ও পরিবেশ আন্দোলন কর্মী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। মূলত বইপড়া কর্মসূচির মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর মাঝে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে কাজ করছেন।
১৯৬১ সালে শিক্ষকতা দিয়েই কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। মুন্সীগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজে খণ্ডকালীন প্রভাষক হিসেবে যোগ দেয়ার পর সিলেট মহিলা কলেজ, রাজশাহী কলেজ ও ঢাকায় ইন্টারমিডিয়েট টেকনিক্যাল কলেজে (বর্তমানে ঢাকা বিজ্ঞান কলেজ) শিক্ষকতা করেন। এরপর তিনি ঢাকা কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ জালালউদ্দিন আহমেদের আমন্ত্রণে সেখানে যোগদান করেন। ঢাকা কলেজেই তিনি তার শিক্ষকতা জীবনের স্বর্ণযুগ অতিবাহিত করেন।
নানা ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি সাহিত্যচর্চায় নিবিষ্ট। কবিতা, প্রবন্ধ, ছোট গল্প, নাটক, অনুবাদ, জার্নাল, জীবনীমূলক বই ইত্যাদি মিলিয়ে তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা প্রায় ২৭টি। ডেঙ্গু প্রতিরোধ আন্দোলন, পরিবেশ দূষণবিরোধী আন্দোলনসহ নানান সামাজিক আন্দোলন তার নেতৃত্বে প্রাণ পেয়েছে।
কর্মময় জীবনের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি একুশে পদক, র্যামন ম্যাগস্যাসে, জাতীয় টেলিভিশন, বাংলাদেশ বুক ক্লাব পুরস্কারসহ নানা পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।কর্মময় জীবনের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি একুশে পদক, র্যামন ম্যাগস্যাসে, জাতীয় টেলিভিশন, বাংলাদেশ বুক ক্লাব পুরস্কারসহ নানা পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।