Saturday, December 14, 2024
Homeরাজনীতিউদ্যানের 'প্রধান মাদক বিক্রেতা' রুবেলকে বহিস্কার করলো ছাত্রলীগ

উদ্যানের ‘প্রধান মাদক বিক্রেতা’ রুবেলকে বহিস্কার করলো ছাত্রলীগ

নবদূত রিপোর্ট:

চাঁদা চেয়ে মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার মুক্তিযোদ্ধা  জিয়াউর রহমান হলের উপ-দপ্তর সম্পাদক আকতারুল করিম রুবেল কে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

তিনি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাদকের চারটি গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করেন এবং নিজেকে উদ্যানের রাজা নামে পরিচয় দিতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা পরিচয়ে তিনি এসব অপকর্ম করতেন।

বুধবার (২৮ জুলাই) বিকেলে সংগঠনটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরী সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের নীতি-আদর্শ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকায় আকতারুল করিম রুবেল (উপ-দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, মুক্তিযোদ্ধা হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো।

বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য গণমাধ্যমকে বলেন, আকতারুল করিম রুবেলের বিরুদ্ধে মাদকসেবন, চাঁদা দাবি ও ওয়ার্ডবয় কে মারার যে অভিযোগ সেটা প্রমাণিত হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৬ জুলাই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালের এক ওয়ার্ড বয়ের কাছে চাঁদা দাবি করে রুবেল। চাঁদা না দেওয়ায় মারধর করে। পরবর্তীতে ওয়ার্ড বয়ের সহকর্মীদের সহযোগিতায় পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যায় শাহবাগ থানা। ভুক্তভোগীর মামলা দায়েরের ভিত্তিতে গতকাল(মঙ্গলবার) এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানায়, আকতারুল করিম রুবেল একজন ছিনতাইকারী ও মাদকবিক্রেতা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রাজা নামেও তিনি পরিচিত। নিজেকে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হল ছাত্রলীগের উপ-দফতর সম্পাদক পরিচয় দিয়ে নানা  অপকর্ম করে থাকেন। আকতারের সঙ্গে জিয়া হলের ড্রপআউট শিক্ষার্থী ও তার বন্ধু ইশতিয়াক আহমেদ ইমনসহ আরও সাত থেকে আটজন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রতিদিন ছিনতাই ও মাদক বিক্রি করে থাকেন৷ 

আরও জানা যায়,  আকতার বর্তমানে উদ্যানের মাদক বিক্রেতা নেটওয়ার্কের প্রধান। উদ্যানের স্বাধীনতা জাদুঘরের পাশে অবস্থিত গ্লাস টাওয়ারের নিচে সাধারণত তিনি অবস্থান করেন। তিনি উদ্যানে চারটি গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular