নিজস্ব প্রতিবেদক:
ব্যাকডেট পদ্ধতি নয়, বরং করোনাকালীন ক্ষতিগ্রস্ততার বিবেচনায় চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে ৩২ বছরে উন্নীত করার দাবি জানিয়েছে চাকরিপ্রত্যাশীরা। গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘চাকরিপ্রত্যাশী যুব প্রজন্ম’র ব্যানারে আয়োজিত এক গণসমাবেশে এই দাবি জানান তারা।
সমাবেশে চাকরিপ্রত্যাশীরা বলেন, করোনা মহামারি বাংলাদেশের সব বয়সী শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা সংবিধান নির্ধারিত ৩০ বছর থেকে দুটি বছর কেড়ে নিয়েছে। হারিয়ে যাওয়া সেই দুই বছর ফিরিয়ে দিয়ে বয়সসীমা ৩২ বছরে উন্নীত করলে সকলেই সমান ক্ষতিপূরণ পাবে, কেউ বৈষম্যের স্বীকার হবে না, সাম্য প্রতিষ্ঠিত হবে। এই ইস্যুতে গত চার মাস ধরে চলমান নিয়মতান্ত্রিক ও অহিংস আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্যাকডেট নামক পদ্ধতির প্রবর্তন করা হয় যেটা সকল বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আমলাতন্ত্র প্রদত্ত বৈষম্যমূলক পদ্ধতিরূপে প্রতীয়মান হচ্ছে।
তারা বলেন, করোনায় হারানো দুই বছর ফিরিয়ে দিয়ে বয়সসীমা স্থায়ীভাবে ৩২ বছরে উন্নীতকরণের সহজ সমাধান দৃশ্যমান হলেও আমলাতন্ত্র প্রদত্ত ব্যাকডেট নামক বৈষম্যমূলক পদ্ধতি চাপিয়ে দিয়ে গোঁজামিল দেওয়ার প্রচেষ্টা লক্ষণীয় যা এদেশের যুব প্রজন্মকে যারপরনাই হতাশ ও বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে। এসময় তারা ব্যাকডেট পদ্ধতিকে ‘প্রত্যাখান’ করে এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন।
সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সমন্বয়ক তানভির হোসেন, সাজিদ রহমান, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আনোয়ার সাকিন, অক্ষয় রায়, সুমনা রহমান, মারজিয়া মুন, সাদেকুল ইসলাম, মানিক রিপন, ওমর ফারুক, মাহমুদুল হাসান, বাকী বিল্লাহ, কাজী কামরুন্নাহার, আকাইদ আকন্দ, শারমীন সুলতানা, নিতাই সরকার, সায়রা হক, আইরিন ইসলাম, ফাহিম আকন্দ, জেড মামুন প্রমুখ।
এসময় তারা তাদের দাবির পক্ষে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন এবং বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।