নবদূত রিপোর্ট:
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপিকে রাজপথে নেমে আন্দোলনে করার আহবান জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে বিকাল শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে গণসংহতি আন্দোলন ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলা আয়োজিত ‘গণসংহতি আন্দোলন’র ১৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সমাবেশে তিনি বলেন, সকল রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে জাতীয় সমাজ তৈরিতে রাজনৈতিক চুক্তি হওয়া দরকার। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপিকে রাজপথে নেমে আন্দোলনে করার আহবান জানাই।
সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাক তিন দফা দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হলো, অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। আগামী তিনটি নির্বাচন রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে গঠিত অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে হতে হবে।সংবিধানের ৭০ নং অনুচ্ছেদ বাতিল, আদালত নিরপেক্ষ করতে সরকার বিরোধী দল ও সুপ্রিম কোর্টের প্রতিনিধিদের নিয়ে সাংবিধানিক কমিটি গঠন, নির্বাচন কমিশনসহ সবগুলো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান দলীয়করণ নিয়োগ বন্ধে সাংবিধানিক কমিশন গঠন করা ও সমস্ত ঔপনিবেশিক আইন-কানুন বাতিল করা।
সমাবেশে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। কারণ হঠাৎ তার জ্ঞান চক্ষু খুলে গেছে। তিনি সাহসের সাথে,সততার সাথে আজকে নিজের দলের দিকে তাকাতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি বলেছিলেন বঙ্গবন্ধুর বাড়ি আক্রান্ত হলে তিনি তার দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিদের ফোন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী আপনি তো বললেন না, তিনি জিয়াউর রহমানকে কেন ফোন করলেন না, তিনি জেনারেল ওসমানীকে কেন ফোন করেননি? খালেদ মোশাররফকে কেন ফোন করেননি? সবচেয়ে বড় কথা যারা তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে স্বাধীনতা এনেছিল তিনি তাদেরকে কেন ফোন করেননি? তিনি কি বিব্রতবোধ করছিলেন? স্বাধীনতার পরে সাড়ে তিন বছরেও ওনি মুজিবনগর পরিদর্শন করেননি। তাই জীবনের শেষ মুহুর্তে তার মনে একটা অনুকম্পা হচ্ছিল।
দুর্নীতি-লুটপাট-ফ্যাসিবাদের দুষ্টচক্র উচ্ছেদ করো ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে এক হও’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে ঢাকা মহানগর সমন্বয়কারী মনির উদ্দীন পাপ্পুর সভাপতিত্বে ও সংগঠনটির ঢাকা মহানগরের সদস্য প্রবীর সাহার সঞ্চালনায় এ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশিদ ফিরোজ, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য এ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।