Saturday, November 16, 2024
Homeরাজনীতিশেখ হাসিনা বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ জাদুকর: ডা. জাফরুল্লাহ

শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ জাদুকর: ডা. জাফরুল্লাহ

নবদূত রিপোর্ট:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ জাদুকর আখ্যা দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) বিকাল চারটায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে গণসংহতি আন্দোলন ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলা আয়োজিত ‘গণসংহতি আন্দোলন’র ১৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ জাদুকর হলো শেখ হাসিনা। তিনি পূর্বপরিকল্পনায় রাতের আধারে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর সবকিছুকে সবকিছুকে উল্টে দিলেন। ঠিক একইভাবে তিনি(শেখ হাসিনা) বলতেছেন চন্দ্রিমা উদ্যানে নাকি জিয়াউর রহমানের শবদাহ নেই। উনি জানবেন কী করে এ বিষয়? যারা জিয়াউর রহমানের লাশ রিসিভ করেছিলো। সেই পুলিশ মিলিটারিরা এখনো বেঁচে আছে।যিনি পোস্টমর্টেম করেছিলেন সেই ডা.তোফায়েল এখনো বেঁচে আছেন। মানিক মিয়া এভিনিউতে তাঁর (জিয়ার) লাশ আনার পর দেশের সবচেয়ে বড় জনসমাগম হয়েছিলো বলে উল্লেখ করেন জাফরুল্লাহ।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, হঠাৎ এসব তথ্য আপনি কেন আনছেন? এটা অনেকাংশে মস্তিষ্ক বিকৃতির লক্ষ্মণ। মানসিকভাবে আপনার উপর এত চাপ, এত অত্যাচার! আপনার বিশ্রাম প্রয়োজন। আপনার চিকিৎসা প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু ও জিয়াউর রহমান কে টানাটানি না করে তাদের শান্তিতে ঘুমাতে দেওয়ার আহবান জানান জাফরুল্লাহ।

জাফরুল্লাহ আরো বলেন” আমি প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। কারণ হঠাৎ তার জ্ঞান চক্ষু খুলে গেছে। তিনি সাহসের সাথে,সততার সাথে আজকে নিজের দলের দিকে তাকাতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি বলেছিলেন বঙ্গবন্ধুর বাড়ি আক্রান্ত হলে তিনি তার দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিদের ফোন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী আপনি তো বললেন না, তিনি জিয়াউর রহমানকে কেন ফোন করলেন না,তিনি জেনারেল ওসমানীকে কেন ফোন করেননি? খালেদ মোশাররফকে কেন ফোন করেননি? সবচেয়ে বড় কথা যারা তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে স্বাধীনতা এনেছিল তিনি তাদেরকে কেন ফোন করেননি? তিনি কি বিব্রতবোধ করছিলেন? স্বাধীনতার পরে সাড়ে তিন বছরেও ওনি মুজিবনগর পরিদর্শন করেননি। তাই জীবনের শেষ মুহুর্তে তার মনে একটা অনুকম্পা হচ্ছিল। তিনি তাজউদ্দিন আহমেদের প্রতি যে অন্যায় করেছেন,অনাচার করেছেন তার আত্ম প্রতিক্রিয়া।

তিনি আরো বলেন,আজকে তার হত্যার জন্য দায়ী পাকিস্তানিরা নয়, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর জন্য ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী। প্রমাণ, ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী তার মৃত্যুর কয়েকদিন আগে তাকে বলেছিলো সরে পড়তে। তার মানে তারা জানত,,, পাকিস্তানিদের এখানে আসার কোনো স্কোপই ছিলো না, ছিলো ভারতীয়দের। ভারতীয়রা তার প্রতি ক্ষিপ্ত ছিলো কারণ, তিনি লন্ডন থেকে আসার পর ভারতীয় বিমানবন্দরে তার বক্তব্য শুনেই তারা বুঝেছিল তিনি স্বাধীনচেতা জনগণের নেতা,যে ভারতীয় পদলেহনকারী হবে না। সেখান থেকে তারা পরিকল্পনা শুরু করেছিলো কিভাবে তাকে সরানো যায়। তাই শুরু হয়েছিল রক্ষী বাহিনী। রক্ষী বাহিনীর কারণে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারীরা,পাকিস্তান থেকে আগত সৈনিকরা তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর একভাই যৌবনের তাড়নায় অনেক কাজ করেছেন যা সমর্থন যোগ্য নয়। এই সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বঙ্গবন্ধুর বিপরীতে গিয়েছে। তার এই বিপদে যারা দাঁড়াতে পারত,দাঁড়াত, তাদেরকে তিনি ডাকেন নাই।

“দুর্নীতি-লুটপাট-ফ্যাসিবাদের দুষ্টচক্র উচ্ছেদ করো
ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে এক হও।” এ ডাক’কে সামনে রেখে ঢাকা মহানগর সমন্বয়কারী মনির উদ্দীন পাপ্পুর সভাপতিত্বে ও সংগঠনটির ঢাকা মহানগরের সদস্য প্রবীর সাহার সঞ্চালনায় এ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক,গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশিদ ফিরোজ, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য এ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী  সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু প্রমুখ।

RELATED ARTICLES

Most Popular