Friday, November 15, 2024
Homeরাজনীতিচন্দ্রিমা উদ্যান থেকে জিয়ার কবর সরিয়ে ফেলা হবে- মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে জিয়ার কবর সরিয়ে ফেলা হবে- মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

নবদূত রিপোর্ট:

জিয়ার ভুয়া কবর নিয়ে মিথ্যাচার করবেন না। জিয়ার ডিএনএ টেস্ট করে দেখুন। অবশ্যই প্রমাণিত হবে এটি কখনোই জিয়ার কবর নয়। স্থপতি লুই আই কানের মূল নকশা অনুযায়ী জাতীয় সংসদ ভবনের নকশা করা হবে। জিয়ার ভুয়া কবর এই নকশার বাহিরে। জিয়ার ভুয়া কবর এখানে থাকতে পারে না। এই ভুয়া কবর দ্রুত সরিয়ে দেয়া হবে।

মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের আয়োজনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্যে বিএনপির উদ্দেশে এসব কথা বলেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ সাধারণ সম্পাদক আল মামুন এর সঞ্চালনা এবং সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন- সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড: সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, ঢাবির দর্শন বিভাগের অধ্যাপক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ, যুবলীগ নেতা আরিফুর রহমান সোহেল, ভাস্কর শিল্পী রাশা, সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তাঁর আদর্শ হত্যা করা সম্ভব হয়নি। বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের নেতা ছিলেন না। তিনি বিশ্ব মানবতার নেতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত মূল কুশীলব জিয়ার দল বিএনপি এখনো ষড়যন্ত্র করছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংসকারী জিয়ার ভুয়া কবর নিয়ে বিএনপি অপরাজনীতি করার চেষ্টা করছে। দেশের জনগণ বিএনপির প্রতারণা বুঝে গেছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে   অতীতের ন্যায় সামনের দিনগুলোতে তরুণ প্রজন্মকে আরোও ভূমিকা পালন করতে হবে।’

ঢাবির অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন,  ‘একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি দোসররা পনেরো আগস্টের কালরাত্রিতে ২৬ জনকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। এটি ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড। ছোট্ট শিশু শেখ রাসেলও হায়েনাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। বঙ্গবন্ধুর আজীবনের সহযোদ্ধা ছিলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। বঙ্গবন্ধু যখন জেলে ছিলেন তখন বঙ্গমাতা দলের জন্য নিজের গহনা পর্যন্ত বিক্রি করেছিলেন। আমাদের দাবি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত দেশী ও বিদেশী ষড়যন্ত্র কারীদের মুখোশ উন্মোচন করার জন্য একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে। তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন শ্বেতপত্র আকারে প্রকাশ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যার বিরুদ্ধে এখনোও ষড়যন্ত্র চলমান। বিষধর সাপরা এখনো সক্রিয়। এদেরকে চিহ্নিত করতে হবে।’

সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী পলাতক খুনী আসামীদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করতে হবে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত মূল কুশীলবদের খুঁজে বের করতে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিশন গঠন করতে। তরুণ প্রজন্মের জানার অধিকার রয়েছে সেসময় কারা কারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল।’

সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মদদদাতা খুনী জিয়ার ভুয়া কবর চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে অবিলম্বে সরিয়ে ফেলার  জন্য সরকারের নিকট দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।

RELATED ARTICLES

Most Popular