নবদূত রিপোর্ট:
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নব-নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুত্রুবার (১০ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নুর, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান, যুব পরিষদের আহবায়ক আতাউল্লাহ, শ্রমিক পরিষদের আহবায়ক আব্দুর রহমান প্রমুখ।
এ সময় নুরুল হক নুর নব-নির্বাচিত সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্যা রহমাতুল্লাহকে পরিচয় করিয়ে দেন।
সভায় নুর বলেন, যখন মানুষ দীর্ঘদিন জুলুম সহ্য করলো, আগামী নির্বাচন নিয়ে সরব হয়েছে, ঠিক তখনই বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধরপাকড় শুরু হয়ে গেছে। আমরা যেটি আগেও বলেছিলাম স্বাভাবিকভাবে এ অঞ্চলের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তারা বুঝতে পারছে তাদের সময় ঘনিয়ে আসছে। তাই তারা এখন ক্ষমতায় থাকার জন্য মরণকামড় দেবে। তারা পাগলা কুকুরে পরিণত হয়েছে এখন। যেমন কুকুর, তেমনি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদেরকে তেমন মুগুর তৈরি করে রাখতে হবে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমার সাম্প্রতিক বক্তব্যের জন্য আমার কিছু রাজনৈতিক স্নেহাস্পদ ব্যক্তিরা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছে। এই জন্য যে আমি তাদের চাকর-বাকরের সাথে তুলনা করেছি। চাকর-বাকরের কাছে আমি এ বক্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। এসব রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্যে চাকর-বাকরের গুণাবলীও নেই। তাদের উপর অত্যাচার করা হলে তারাও একসময় প্রতিবাদ করে, এসব নেতাদের মাঝে তাও নেই। আপনারা চাকর-বাকরের কাছ থেকে শিখেন।
গনসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, শুধু এই সরকার না, যারা যারা এই অবৈধ সরকারের সুবিধাভোগী তারাও এই ফ্যাসিবাধী শাসন টিকিয়ে রাখতে চাইছে। যারাই এই ভোটারবিহীন সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তাদেরকেই একাত্তরের রাজাকারদের সাথে জুড়ে দেওয়া হয়। বিভিন্ন ইস্যু সৃষ্টি করে জনগণের মাঝে বিভাজন তৈরী করে এই সরকার জনগণকে ব্যস্ত রাখছে। ভূরাজনৈতিক মেরুকরণের আধিপত্য বিস্তারের যে রাজনীতি বর্তমানে পৃথিবীতে চলছে সেখানে নতুন চিন্তা ও নতুন উদ্দ্যম নিয়ে আমাদের একটা কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হবে। যুগে যুগে ছাত্র-সমাজ যখন ফ্যাসিবাদের মসনদে আঘাত হেনেছে তখনই এর পতন হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান আসিফ নজরুল বলেন, যারা পদে পদে ভিন্ন মতকে দমন করতে চায়, মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে চায়, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ দেশের সকল সম্পদ লুটপাট করতে চায়, অত্যাচার-নিপীড়ন, গুম করে ক্ষমতায় থাকতে চায়, তারাই পাকিস্তানের এজেন্ট। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী এদেশের জনগণের সাথে যা যা করতো, এদেশের জনগণের সাথে বর্তমানে যারা এসব করছে তারাই প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের এজেন্ট, পাকিস্তানের চেতনা বহনকারী। আর যারা এসব নিপীড়নের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তারাই প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী।