নবদূত রিপোর্ট:
জীবিত থাকতে আর বিনাভোটে নির্বাচন হতে না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নির্বাচিতদের পরিচিতি সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
নুর বলেন, যখন মানুষ দীর্ঘদিন জুলুম সহ্য করলো, আগামী নির্বাচন নিয়ে সরব হয়েছে, ঠিক তখনই বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধরপাকড় শুরু হয়ে গেছে। আমরা যেটি আগেও বলেছিলাম স্বাভাবিকভাবে এ অঞ্চলের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তারা বুঝতে পারছে তাদের সময় ঘনিয়ে আসছে। তাই তারা এখন ক্ষমতায় থাকার জন্য মরণকামড় দেবে। তারা পাগলা কুকুরে পরিণত হয়েছে এখন। যেমন কুকুর, তেমনি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদেরকে তেমন মুগুর তৈরি করে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আপনাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে ‘বিনাভোটের নির্বাচন আমরা জীবিত থাকতে আর হতে দিব না’। আগামী নির্বাচন যতক্ষণ পর্যন্ত না হয়, বিরোধীদলের উপর দমনপীড়ন চলবে। আপনাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। ছাত্র-জনতাকে এক হয়ে লড়াই করে যেতে হবে।
ডা. জাফরুল্লাহর উক্তি টেনে নুর বলেন, জাফরুল্লাহ স্যার যেটি বলেছেন ‘পৃথিবীর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ জাদুকর এই সরকার’ বাস্তব কথা তাই। এরা বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করে মানুষের দৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে। এক বাহিনীকে এক বাহিনীর বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়। মোদিবিরোধী আন্দোলন করার কারণে আমাদের প্রত্যেক ছাত্রনেতাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। গরুর মতো জবাই করে যেমনি ঝুলিয়ে রাখে, তেমনি দিনের পর দিন ঝুলিয়ে রেখেছে। শুধু তাই নয়, তাদেরকে ভবিষ্যতে রাজনীতি না করার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশকে একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সরকার বাংলাদেশকে একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। আগে দেখেছেন সামরিক শাসন, এখন দেখবেন পুলিশি শাসন। আজ প্রোগ্রাম থেকে আমরা বলতে চাই, মুদিবিরোধী প্রোগ্রাম থেকে ছাত্র-জনতা, আলেম-ওলামা যারা গ্রেফতার হয়েছে তাদের প্রত্যেকের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। সকল মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান, যুব পরিষদের আহবায়ক আতাউল্লাহ, শ্রমিক পরিষদের আহবায়ক আব্দুর রহমান প্রমুখ।