লাইফস্টাইলঃ
মানুষ অনেক সময় নাক ডাকার কারণে অনেকের নিকট হাসির পাত্র হয়ে উঠে। তবে ঘুমের মধ্যে নাক ডাকলে অন্যদের জন্য তা বিরক্তির হওয়াটা স্বাভাবিক। এই কারণে নিজেকেও অস্বস্তিতে পড়তে হয় নানা সময়।
অস্বস্তিকর পরিবেশ থেকে মুক্তির উপায় জেনে নেওয়া যাক-
* কাত হয়ে ঘুমানো চেষ্টা করুন৷ চিত হয়ে ঘুমালে গলার পেশি থাকে শিথিল। ফলে নাক ডাকার আশঙ্কা বাড়ে। তাই যাদের নাক ডাকার সমস্যা রয়েছে তারা কাত হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস করে দেখতে পারেন।
* ওজন কমানোর দিকে নজর দিন৷ যাদের ওজন বেশি তাদের এই সমস্যা বেশি। শ্বাস নেয়ার সময় টিস্যুগুলোর ঘর্ষণে শ্বাস নেয়ার সময় শব্দ হয়। এজন্য ওজন কমানোর চেষ্টা করা উচিত।
* নেশাজাতীয় দ্রব্য ও ঘুমের ওষুধ পরিহার করুন৷ অ্যালকোহল বা নেশা জাতীয় দ্রব্য মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলার সাথে সাথে অন্যান্য শারিরীক সমস্যার সৃষ্টি করে। অ্যালকোহল বা নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবনের কারণে অনেকে নাক ডাকেন। তাই নেশা জাতীয় দ্রব্য বাদ দেয়ার চেষ্টা করুন।
* বেশি বালিশ নেয়া দরকার৷ বুকের চেয়ে মাথা উপরে থাকলে নাক ডাকার আশঙ্কা অনেকটা কমে যায়। তাই মাথার নিচে কয়েকটি বালিশ দিয়েও নাক ডাকা কমানো যেতে পারে।
*ধূমপান ছেড়ে দেয়া উচিত৷ ধূমপানে শরীরের অক্সিজেন ব্যবহারের ক্ষমতা কমে যায়। ফলে বাতাস বের হওয়ার পথ সংকুচিত হয়ে পড়ে। এ কারণেও অনেকে নাক ডাকতে পারেন।
* শরীরের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার অনেক কিছুই অভ্যাস নিয়ন্ত্রিত। তাই নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করা উচিত। এতে করে নাক ডাকার প্রবণতা কমবে।
* শরীরচর্চা রক্ত চলাচল ভালো রাখে এবং এতে ঘুমও ভালো হয়। এ জন্য নাক ডাকা কমাতে প্রতিদিন শরীরচর্চার অভ্যাস করতে হবে।
* প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এতে করে নাসারন্ধ্রে লেগে থাকা আঠার মতো দ্রব্যগুলো দূর হবে।
* নাসারন্ধ্রের পথ পরিষ্কার রাখা দরকার৷ এতে একজন ব্যক্তি সহজভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারেন। এ কারণে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ভালোভাবে নাক পরিষ্কার করতে হবে।
* ঘুমাতে যাওয়ার দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খাওয়া দরকার৷ যাতে জেগে থাকা অবস্থায়ই খাবার হজম হয়ে যাবে। ফলে রাতে ভালো ঘুম হবে। নাক ডাকাও কমবে।
উক্ত অভ্যাসগুলো নিয়মিত চর্চায় মিলবে সমস্যার সমাধান।