নবদূত রিপোর্ট:
রেজিস্ট্রি অফিসে অস্থায়ীভাবে কর্মরত দেশের সকল নকলনবিশদের চাকুরী জাতীয়করণের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
রোববার (৩১ অক্টোবর) শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে আইন মন্ত্রণালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করলে শাহবাগে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। পরে সংগঠনটির দুই সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দল আইন মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্বারকলিপি প্রদান করেন।
সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত নকলনবিশদের চাকুরী স্থায়ীকরণের (স্কেলভুক্ত) জন্য ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং ১৯৮৪ সালে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সানুগ্রহ সমর্থন জানিয়েছিলেন। কিন্তু আজও পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন করা হয়নি যা অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রায় এক হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মসহ মোট ১৬ হাজার নকলনবিশের পরিবাররা অতিকষ্টে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। নকলনবিশদের চাকুরী জাতীয়করণ করা রাষ্ট্রের মানবিক ও নৈতিক দায়িত্ব বলে আমরা মনে করি।’
সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, সরকারের নৈতিক দায়িত্ব হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সকল উদ্যোগ ও ঘোষণা বাস্তবায়ন করা। কিন্তু সেটা না করে বছরের পর বছর নকলনবিশদের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে যা কখনোই মেনে নিবে না বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। আমাদের বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নিকট এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে উপস্থাপন করলে অবশ্যই নকলনবিশদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হবে।
বাংলাদেশ নকলনবিশ এসোসিয়েশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৫৮ সালে জজকোর্ট, মহামান্য হাইকোর্ট এবং সরকারের অন্যান্য বিভাগের নকলনবিশদের চাকুরী সরকারিকরণ হলেও রেজিষ্ট্রি বিভাগের নকলনবিশদের চাকুরী আজও পর্যন্ত সরকারিকরণ হয়নি। সরকার নকল বাবদ যে ফি’ (অর্থ) পক্ষগণ থেকে আদায় করেন, সে অর্থ দিয়েই নকলনবিশদের বেতন-ভাতাদির সংকুলান করা সম্ভব। বাজেটে অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রয়োজন হবে না। বারবার আশ্বাসের পরেও অদৃশ্য কারণে নকলনবিশদের চাকুরী জাতীয়করণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না যা কখনোই কাম্য নয়।’