তৌফিক প্রান্ত,রুয়েট প্রতিনিধি
মতামত:ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) এবং পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি)-এর যৌথভাবে করা একটি জরিপ বলছে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ দেশের ১৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ বা সোয়া ৩ কোটি মানুষকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
এই বছরের মার্চ মাসে নতুন দরিদ্রের সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৪৫ লাখ। অর্থাৎ গত ছয় মাসে নতুনভাবে ৭৯ লাখ মানুষ দরিদ্র হয়েছে।
জরিপে আরও দেখা যায়, মানুষের খাদ্যের ক্ষেত্রে ব্যয় কোভিডকালের তুলনায় কমে গেছে। শহরে দরিদ্র মানুষের মাথাপিছু ব্যয় ছিল ৬৫ টাকা। এখন তা ৫৪ টাকা। গ্রামে ব্যয় ছিল ৬০ টাকা, এখন ৫৩ টাকা।’
কিন্তু এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে,মানুষের গড় আয় বেড়েছে,জিডিপি বেড়েছে।এর মানে দাঁড়ায় তাদের উন্নয়ন এর ফাঁকা গল্প সবকিছুই বাড়ছে,কিন্তু দেশের বড় সংখ্যক মানুষ ক্রমেই দরিদ্র হচ্ছে,খাবার এর যথেষ্ট মজুদ আছে কিন্তু ইচ্ছাকৃত দাম বাড়ায় -কেনার সামর্থ্য কমছে।
যেখানে সরকারের উচিত ছিল,ভর্তুকি দিয়ে জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে মানুষের স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিত করা,সেখানে প্রতিদিন আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে।
সর্বশেষ বাড়ানো হয়েছে,কেরোসিন ডিজেলের দাম প্রতি লিটারে ১৫ টাকা।যেটার প্রভাব এখন পড়বে উৎপাদন,পরিবহন সহ সব ক্ষেত্রে।অর্থাৎ স্বাভাবিকভাবেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সহ সকল সেক্টরে দাম আরও এক দফা দাম বাড়বে।
এর প্রভাব হবে সুদুরপ্রসারি,পণ্যের দাম বাড়লেও যেহেতু মানুষের আয় বাড়ছে না,মানুষের ক্রয়ক্ষমতার সক্ষমতা কমবে।ধনী দরিদ্রের বৈষম্য আরও বাড়বে,দরিদ্র আরো দরিদ্র হবে,১৯৭৪ এ আমাদের প্রজম্ম যাদের দুর্ভিক্ষ দেখার সুযোগ হয়নি,তাদের হয়ত এই দেখার সুযোগটাও হবে।
আসলে তাদের ইচ্ছা হয়ছে, দাম বাড়াইছে।১৫ টাকা কেন ১৫০ টাকা করলেও মানুষকে যেহেতু চুপ থাকানো শেখানো গিয়েছে,তাই আর কিছুতেই প্রব্লেম নাই।সব উন্নয়ন বেড়েছে,শুধু মানুষের জীবনের দামটাই কমেছে।ক্ষুদা লাগলে জিডিপি,মাথাপিছু আয়,মিথ্যা উন্নয়ন গুলায়ে খেতে হবে।
বিকল্প দেখান!!ক্রিকেটে যেমন পাপন,ফুটবলে সালাউদ্দিন এর বিকল্প নাই,এখানেও সেরকম বিকল্প নাই!নাই!নাই!