নবদূত রিপোর্ট:
বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতা থাকাকালীন অবস্থায় খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান ১০ পার্সেন্ট তারেক নামে পরিচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।
সোমবার দুপুর ১২ টার সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘উইটসা এমিনেন্ট পার্সনস অ্যাওয়ার্ড-২০২১’ পুরস্কারে ভূষিত হওয়ায় এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ‘অ্যাসোসিও লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড-২০২১’ পুরস্কার লাভ করায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিল ও পরবর্তী সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য এ মন্তব্য করেন তিনি।
আনন্দ মিছিলটি মধর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দিক প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসন।
সভাপতির বক্তব্যে আল নাহিয়ান খান জয় বলেন,” সারাবিশ্বের পরিচিত নাম, যিনি না থাকলে আমরা এ বাংলাদেশ পেতাম না সেই জাতির পিতা যার কারণে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে সুনামের সাথে পরিচিয় লাভ করতে পেরেছে। তারই ধারাবাহিকতায় তার সুযোগ্য কন্যা যিনি বাংলাদেশকে এক উচ্চ আসনে বসিয়েছেন যাকে সারাবিশ্ব চিনে যার কারণে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে তিনিই শেখ হাসিনা। যার নেতৃত্ব সারাবিশ্বে একটি মডেল হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে। আজকে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রীকে অভিনন্দন জানাই। যার কারণে বাংলাদেশ এক অনন্য জায়গায় স্থান পেয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “আজকে বাংলাদেশে তরুণ প্রজন্মের প্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে সজীব ওয়াজেদ জয়।তবে আমরা এও জানি খালেদা জিয়ার কুপুত্র তারেক রহমান যে কিনা রাজনীতির স্বরবর্ণ ব্যাঞ্জনবর্ণ বুঝে না। সেই তারেক রহমানকে আমরা চিনি। এই অশিক্ষিত তারেক রহমানের ইতিহাস আমরা দেখেছি। তিনি হাওয়া ভবনে বসে বাংলাদেশের পার্সেন্টেজ চাইতো। ১০ পার্সেন্ট তারেক জিয়া হিসবে পরিচিত লাভ করেছিলো। একসময় বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পরিচিত লাভ করেছিল। কিন্তু আজকে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে জনপ্রিয় একটি রাষ্ট্র হিসেবে লাভ করেছে।”
লেখক ভট্টাচার্য বলেন, “বিগত ১৩ বছরে যতটা উন্নয়ন বাংলাদেশের মাটিতে হয়েছে ততটা উন্নয়ন স্বাধীনতার পর থেকে কেউ কখনো করতে পারেনি। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সঠিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন। কিন্তু যখনি অন্য কোন দল বাংলাদেশে এসেছে, তখনি তারা ক্ষমতার রাজনৈতিক ধরে রাখার জন্য পরবর্তী সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে তারা যেভাবে প্রশ্ন তুলছে, তারাই কিন্তু তাদের সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চেয়েছিল।”
লেখক আরো বলেন, “ইতোমধ্যে ২০০৮ সালের ঘোষিত দিন বদলের সনদ বাস্তবায়িত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে শেখ হাসিনাকে সন্মান প্রদর্শন করে আসছেন, ঠিক একই ভাবে অনান্য রাষ্ট্র প্রধানরাও শেখ হাসিনার কাছ থেকে সরকার পরিচালনা, দেশ পরিচালনা এবং বাংলাদেশের উন্নয়নের গ্রহণ কৌশল সম্পর্কে শেখ হাসিনার গৃহীত কৌশলসমূহ গ্রহণ করেছেন।”
সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম সুমন, রাকিব হোসেন, সৈয়দ আরিফ হোসেন, রানা হামিদ, দেবাশিষ আদীর সিদ্ধার্থ, রানা হামিদ, সাইফ বাবু, মাহমুদুল হাসান তুষার, তিলোত্তমা সিকদার, ফরিদা পারভীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ চোধুরী, মাহবুবুর রহমান, সাংগাঠনিক সম্পাদক বরিকুল ইসলাম বাধন, সাদ বিন কাদের চৌধুরী সহ কেন্দ্রীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, কবি নজরুল ইসলাম কলেজ, তিতুমীর কলেজ, ইডেন কলেজের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।