Monday, December 30, 2024
Homeশিক্ষাবন্ধ ডাচ-বাংলার শিক্ষাবৃত্তি, আর্থিক সঙ্কটে ১৫ হাজার শিক্ষার্থী"

বন্ধ ডাচ-বাংলার শিক্ষাবৃত্তি, আর্থিক সঙ্কটে ১৫ হাজার শিক্ষার্থী”

নবদূত রিপোর্ট:

যেকোনো সমাজ বা জনগোষ্ঠিকে এগিয়ে নিতে হলে প্রয়োজন অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন। সমাজের সকল মানুষকে একটি প্রত্যাশিত ছন্দে এগিয়ে নিতে হলে সক্ষম ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হয়। সেই লক্ষ্যে প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্তের দরিদ্র, অসচ্ছল, মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করে দেশের বেসরকারি ব্যাংকসহ নানান আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক (করপোরেট সোস্যাল রেসপনসিবিলিটি- সিএসআর) কার্যক্রমের অধীনে ব্যাংকগুলো বিভিন্ন পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করে। তাদের মধ্যে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বিবেচনায় অনন্য ডাচ বাংলা ব্যাংক ফাউন্ডেশন (ডিবিবিএফ)।

অসচ্ছল-মেধাবী শিক্ষার্থীদের ‘স্বপ্ন পূরণের সেতুবন্ধন’ ডাচ-বাংলা ব্যাংক তার শিক্ষাবৃত্তি কর্মসূচির আওতায় দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করে আসছে। ধারাবাহিকভাবে স্বচ্ছতার সাথে এই কার্যক্রম পরিচালনা করায় ইতোমধ্যে সকল মহলের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সিএসআরের অধীনের এই উপবৃত্তিটি। তবে করোনা প্রকোপ শুরুর পর থেকে বন্ধ রয়েছে তাদের এই কার্যক্রম। ফলে বিপাকে পড়েছেন বৃত্তির আওতায় থাকা অন্তত ১৫ হাজার শিক্ষার্থী। সেই সাথে নানা মাধ্যমে সমালোচিত হচ্ছে ব্যাংকটির শিক্ষাবান্ধব এই কার্যক্রম।

তথ্যমতে, এসএসসি পরীক্ষায় মেধার সাক্ষর রাখা শিক্ষার্থীদের মাসিক ভিত্তিতে দুই হাজার টাকা করে ২৪ মাস বৃত্তি দিয়ে থাকে ডাচ বাংলা ব্যাংক। এছাড়া শিক্ষা উপকরণ কেনার জন্য আড়াই হাজার টাকা এবং ড্রেসের জন্য দেয় এক হাজার টাকা। আর অনার্স পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বছরে এককালীন দেয়া হয় ছয় হাজার টাকা। এছাড়া প্রতিমাসে দেয়া হয় তিন হাজার টাকা। যা দিয়ে অসচ্ছল কিন্তু মেধাবী শিক্ষার্থীরা তাদের পরবর্তী পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারেন। তবে দীর্ঘ সময় ধরে বৃত্তির এই অর্থ না পাওয়ায় আর্থিক সংকটে ভুগছেন তারা।

শিক্ষার্থীদের তথ্যমতে, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই বৃত্তির টাকা পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা। সে হিসেবে প্রায় ২৩ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে তাদের শিক্ষাবৃত্তি। তবে প্রতিষ্ঠানের দাবি করোনাকালীন লকডাউনের সময় থেকেই বৃত্তি প্রদান বন্ধ রেখেছেন তারা।কিন্তু চলতি বছরের ২৭ অক্টোবর তারা সিএসআর ( শিক্ষা খাতে অবদান রাখায়)এর প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন।

জানা গেছে, অন্যান্য বেসরকারি ব্যাংকের বৃত্তি কার্যক্রম অব্যাহত থাকলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকা দেয়া বন্ধ রেখেছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।হেল্পলাইন থেকে জানানো হয়েছিলো, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ১৫ দিনের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের স্বস্ব একাউন্টে শিক্ষা বৃত্তির টাকা প্রদান করা হবে।কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরেও এখন পর্যন্ত কোনো টাকা বা নোটিশ প্রদান করা হয়নি।এদিকে ক্যাম্পাস খোলায় শিক্ষার্থীরা তাদের লেখাপড়ার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলছেন, করোনার সময় যেখানে অন্যান্য ব্যাংক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলো সেখানে ডাচ-বাংলা ব্যাংক তাদের শিক্ষাবৃত্তি বন্ধ রেখেছে।বর্তমানে তাদের লেখাপড়ার খরচ বাসা থেকে নিতে হচ্ছে। এতে তাদের পরিবারের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় দ্রুত বৃত্তির অর্থ পুনরায় দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা।

RELATED ARTICLES

Most Popular