নবদূত রিপোর্ট:
টাঙ্গাইলে নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোগ মিছিল ও সমাবেশ করেছে গণ অধিকার পরিষদ।
সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক অর্থনীতিবিদ ড.রেজা কিবরিয়া বলেন, টাঙ্গাইলের হামলার ঘটনায় ওবায়দুল কাদের নিন্দা জানিয়েছেন বুঝলাম, কিন্তু এই সরকার কার কথায় চলে তা বুঝলাম না। সরকার কি ওবায়দুল কাদেরর কথায় চলে, নাকি শেখ হাসিনার কথায় চলে। যার কথায় চলুক এই দুষ্কৃতিকারীদের দায় প্রধানমন্ত্রী এড়িয়ে যেতে পারে না। তাকেও এই দায় নিতে হবে। এর পর যদি কোন হামলা হয় তাহলে আমরা বুঝে নিব প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নুরের উপর এর আগে ১৯ বার হামলা হয়েছে। একটির বিচার হয়নি। এর মানে কী? হয়তো তিনি থামাতে চাননি বা থামাতে পারেন নি। তার মানে উনার দলীয় লোকজনের উপর উনার কোন নিয়ন্ত্রণ নাই। যদি দলীয় লোকদের উপর নিয়ন্ত্রণ না রাখতে পারেন,তাহলে তিনি দেশের মানুষকে কিভাবে নিরাপত্তা দিবেন। দেশ কিভাবে চালাবেন? সরকার দেশ চালাতে ব্যর্থ। তাই আমরা বলতে চাই,নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সু্ষ্ঠ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।
গণঅধিকার পরিষদ এর সদস্য সচিব নুরুলহক নুর বলেন,’ বর্তমান সরকার দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করে দেশকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। ভিন্নমত ও বিরোধীদের উপর হামলা করে এখন তারা নিজেরা মারামারি, খুনোখুনি করছে। অপদার্থ নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনের নামে রক্তের হলিখেলার আয়োজন করছে। সরকার দলদাস অযোগ্য,দুর্নীতিবাজদের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে বসিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করছে।
আওয়ামীলীগ এখন এতোটাই অকৃতজ্ঞের দলে পরিণত হয়েছে যারা নিজ দলের প্রতিষ্ঠাতা ভাসানীকেও আজকে ইতিহাস থেকে মুছে দিতে চায়।
টাঙ্গাইলে ছাত্রলীগ, যুবলীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর যে বর্বর হামলা করেছে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরেই সেটি উঠে এসেছে। ওবায়দুল কাদের দুঃখ প্রকাশ করেছে, এটি যদি মন থেকে করে তাহলে তাকে ধন্যবাদ। আমরা প্রতিহিংসার,সহিংসতার রাজনীতি করতে চাই না।শান্তি-সম্প্রীতি ও সহনশীলতার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চাই,শান্তি চাই। টাঙ্গাইলের হামলায় সরকারের নির্দেশনা না থাকলে,দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক।
গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খাঁন বলেন, মওলানা ভাসানীর আদর্শের সৈনিকেরা যখন ভাসানীর কণ্ঠে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলছে, তখনই এই হামলা। টাঙ্গাইলের হামলা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এই হামলা ধারাবাহিক হামলারই অংশ। আওয়ামীলীগ ভাসানীর আদর্শ চর্চা করতে দিতে চায় না। প্রতিটি হামলার পরে জনাব ওবায়দুল কাদের নিন্দা জানাবে, কিন্তু বিচার করবেনা। আজকে বিচারের বাণী রাস্তায় রাস্তায় কাঁদছে।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন,গণঅধিকার পরিষদ এর যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান খান,সোহরাব হোসেন,আবু হানিফ, শাকিলউজ্জামান,সাদ্দাম হোসেন,শহীদুল ফাহিম,জিসান মহসিন। যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুর জাহেদ,সাইফুল্লা হায়দার
যুব পরিষদ এর সদস্য সচিব মুনজুর মোর্শেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক নাদিম হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদ এর সভাপতি আব্দুর রহমান,সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদ, ছাত্র অধিকার পরিষদ এর সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা রহমতুল্লাহ, ও রোকেয়া জাবেদ মায়া সহ মহানগরের নেতৃত্ববৃন্দ বক্তব্য রাখেন।