নবদূত রিপোর্ট:
গাড়ির ফিটনেস সনদ এবং চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স যাচাই করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সহযোগীর ভূমিকায় রয়েছেন সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। লাইসেন্স ও ফিটনেস সনদ দেখাতে না পারলেই ঘুরিয়ে দেয়া হচ্ছে অথবা সামনে যেতে হলে মামলা নিতে হচ্ছে।
কোন কোন গাড়ির সামনে শিক্ষার্থীরা লিখেও দিচ্ছেন ‘সাবধান, মেয়াদোত্তীর্ণ’ ‘লাইসেন্স নেই, দূরত্ব বজায় রাখুন’ ‘Expired, সাবধান’। বাদ যায়নি নেই সরকারি কিংবা গণমাধ্যমের গাড়িও। শিক্ষার্থীদের সনদ দেখাতে না পারায় একটি বেসরকারি গণমাধ্যমের গাড়ির সামনে ‘সাংঘাতিক, লাইসেন্স নাই’ এবং সরকারি গাড়িতে ‘সরকারি গাড়ি লাইসেন্স নেই’ লিখে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে এমন চিত্রই দেখা যায়। এর আগে নিরাপদ সড়কের দাবিতে সকাল এগারোটা থেকে এ সড়কটি অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে স্থানীয় কয়েকটি স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, সড়কে চলাচল করা অধিকাংশ গাড়িরই ফিটনেস সনদ নেই এবং চালকদেরও লাইসেন্স নেই। তদারকির অভাবে সড়ক লাইসেন্সবিহীন এবং ফিটনেস বিহীন এসব গাড়িতে সয়লাব। ফলে প্রতিদিনই দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। তাই এবার সড়কে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা পথ ছাড়বে না।
আজিমপুর গার্লস স্কুলের শিক্ষার্থী রাবেয়া সুলতানা বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে দীর্ঘদিন আমরা সড়কে আন্দোলন করছি। এর মাঝেও আমরা দেখেছিস চালকদের অদক্ষতায় সড়কে শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। আমরা চাই না আর কোন মায়ের বুক খালি হোক। সড়কে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা চাই।
শিক্ষার্থীদের সনদ ও ফিটনেস যাচাইয়ে সহযোগিতা করা রাজধানীর মোহাম্মদপুর জোনের ট্রাফিক সার্জেন্ট রিয়াদ মোর্শেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিক্ষার্থীরা বাস চালকদের লাইসেন্স এবং ফিটনেস পরীক্ষা করছে। আমরা তাদেরকে সহযোগিতা করেছি। ইতোমধ্যেই কয়েকটি গাড়ির ব্যাপারে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা সব সময় চাই যেন সড়কে সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক।