নবদূত রিপোর্ট:
আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের রায়ের প্রসঙ্গ টেনে ছাত্রশিবির-ছাত্রদলের হামলায় নিহত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হত্যার রায়ও দ্রুত ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ এনে বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং বিভিন্ন সময় ছাত্রশিবির-ছাত্রদলের হামলায় নিহত ছাত্রলীগের নেতাকর্মী হত্যার রায় দ্রুত ঘোষণার দাবিতে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানান নেতারা।
সমাবেশে সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, বুয়েটের আবরার হত্যার ঘটনার যে রায় গতকাল দিয়েছে, সে আবরার হত্যার পর সর্বপ্রথম ছাত্রলীগই ঢাকা শহরে শোক মিছিল বের করেছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শক্ত নির্দেশনায় এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সকলের দ্রুত বিচার কার্য সম্পাদন করেছেন। বুয়েটের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও এই রায়কে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
একই দেশে দু’টি আইন কেন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ২০১৩ সালে বুয়েট ছাত্রলীগের কর্মী আরিফ রায়হান দ্বীপকে শিবিরের নেতাকর্মীরা নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল, সে মামলার রায়ের কী অবস্থা? রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী শহীদ ফারুক হোসেন, বুয়েট ছাত্রী সাবিকুন নাহার সনি, চট্টগ্রামের বাকলিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মী হত্যার রায়ের কী অবস্থা? কেন একই দেশে একটি ছাত্র সংগঠনের জন্য একটি আইন, আরেকটি ছাত্র সংগঠনের জন্য আরেকটি আইন হবে?
বুয়েটের আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের রায়ের কথা উল্লেখ করে জয় বলেন, আমরা মনে করি উচ্চ আদালতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পাবে।পাশাপাশি যারা ঐ সময়ে ঘটনাস্থলে ছিল না তারা যেন শাস্তির আওতায় না আসে সেটাও বিজ্ঞ আদালতকে বিবেচনায় নিতে হবে। পাশাপাশি আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে যে ৯ জন বুয়েটের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে তা পূণর্বিবেচনা করার আহবান জানান জয়।