নবদূত রিপোর্ট:
নুরুল হক নুর বলেছেন, ছাত্রলীগের ইতিহাস ঐতিহ্য ছিল। কিন্তু বর্তমানে এটি ফাঁকা। গত বিশ বছরে ছাত্রলীগ এমন একজন গ্রাজুয়েট বের করতে পারেনি, যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। কিন্তু বিশ বছরে ছাত্রলীগের খুন-সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজি এমন হাজার হাজার অপকর্মের হিসেব দেওয়া যাবে। ছাত্রলীগ নামক মেশিনে ঢুকলেই মেধাবী শিক্ষার্থীরাও খুনিতে রূপান্তরিত হয়। তাই এই মেশিনকে আগে আমাদের ধ্বংস করতে হবে। ছাত্রলীগের সকল অপকর্মের ডকুমেন্টারি তৈরি করে এটিকে একটি আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে ডাকসুতে হামলার দুই বছর পূর্তি ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী নির্যাতনের প্রতিবাদে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও সমাবেশে তিনি এ দাবি জানান।
নুরুল হক নুর বলেন, আমরা প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। ভারতের বিতর্কিত এনআরসি-সিএএ বিলের প্রতিবাদে সেখানকারই অসম্প্রদায়িক চেতনার কয়েকজন আন্দোলনরতদের উপর নির্যাতনের ঘটনার বিরুদ্ধে আমরা কথা বলেছিলাম। তথাকথিত ভুইফেঁাড় সংগঠন এবং ছাত্রলীগ মিলে যার জন্য আমাদের উপর বর্বর হামলা করেছে। তৎক্ষণাৎ কল করলেও ভিসি-প্রক্টর কেউ সেদিন আমার কল ধরেননি। সরকারের উচ্চমহল থেকে আশ্বাস দিলেও সেই হামলার বিচার আমরা পাইনি। এটা কোনো সাধারণ ঘটনা ছিলো না। ভারতীয় এজেন্টদের ইন্ধনেই এই হামলা হয়েছিলো।
তিনি বলেন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে যেখানে জেলে যেতে হচ্ছে সেখানে এখন যারা নিজেদের অনেক শক্তিশালী মনে করছেন তাদের জন্য এটি উদাহরণ। আজীবন কেউ ক্ষমতায় থাকবে না। বাংলাদেশে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষমতার পরিবর্তন হবে। এই মাফিয়াদের পতন হবে। তখন সবাইকে বিচারের সম্মুখীন করা হবে।
ছাত্র অধিকার পরিষদ সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লার সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাকিল মিয়ার সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন- গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খাঁন, ছাত্র অধিকার পরিষদ সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম, ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসাইন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আসিফ মাহমুদ প্রমুখ।