নবদূত রিপোর্ট:
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের রাতের আঁধারে ভোটা ডাকাতি করে দেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণঅধিকার পরিষদ।
আজ ৩০ ডিসেম্বর বিকাল ৪ টায় গণঅধিকার পরিষদের আয়োজনে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভোটাধিকার হরণ দিবস স্মরণে কালো ব্যাজ ধারণ করে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে ডাকসুর সাবেক ভিপি গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, “৩০ শে ডিসেম্বরে শুধুমাত্র ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে এমনটি না। ২০১৪ সালে তো বিনা ভোটের একটা কথাকথিত নির্বাচন হয়েছে যে নির্বাচনে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে।এই আওয়ামী সরকার, ভারতের তাবেদার সরকার ৬ জন ব্যক্তিকে দিয়ে ২০১৪ সালের বিনাভোটের নির্বাচন কেমন হবে সেটা ঠিক করেছিল। ২০১৮ সালে ৮ জন ব্যক্তিকে দিয়ে আরেকটা বিনা ভোটের নির্বাচনের আয়োজন করেছিলো।
তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু বিরোধী দল আছে যারা এই মাফিয়াদের কুটকৌশল বুঝতে অক্ষম হয়েছে। তার খেসারত আজ জনগণ দিচ্ছে। এই সরকার ক্ষমতায় এসে প্রথমেই দেশের সংকটে যারা ভূমিকা রাখে সেই চৌকস সেনা অফিসারদের হত্যা করে। তারপর বিরোধী দলীয় নেত্রীকে বাড়িছাড়া করে,তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে। দেশের আলেমওলাদেরকে নির্যাতন করে, বিনাবিচারে কারাগারে রাখে, তাদেরকে হত্যা করে। ‘
একমাত্র সাহসী তরুণরাই সঠিক নেতৃত্ব দিতে পারবে।
জাতীয় সংকট নিরসনের জন্য সকল রাজনৈতিক দলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে জাতীয় সরকার গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতিকে আহবান জানান ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, আপনারা নির্বাচন ব্যবস্থার জানাজা পড়িয়ে কবে শুইয়ে দিয়েছেন। এখন কবর থেকে তুলে রাষ্ট্রপতির সাথে সংলাপের আয়োজন করছেন? রাষ্ট্রপতির কোন ক্ষমতা আছে? তিনি তো শুধু প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির শপথ পড়ানোর জন্য আছেন। যদি কোন সংলাপের প্রয়োজন হয়, তবে সেটা প্রধানমন্ত্রী ডাকবে। রাষ্ট্রপতির ঘাড়ে বন্দুক রেখে ২০১৩,২০১৭ তে পাড় হয়েছেন, ২০২৩ এ জনগণ পাড় হতে দিবেনা।
বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান বলেন, ” আওয়ামীলীগ সরকার ১৯৭৩ সালে ভোট চুরি করে খন্দকার মোশতাককে পাশ করিয়েছিল। ৭৪ সালে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আওয়ামীলীগ প্রধান নিজের দলকেও নিষিদ্ধ করে বাকশাল করেছিলেন।২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রার্থী বিহীন নির্বাচন এবং ১৮ সালের ভোটার বিহীন নির্বাচন করে ক্ষমতা দখল করে আওয়ামীলীগ প্রমাণ করেছে তারা কখনোই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনা । “
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি বলে দেশের গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, হরণ করছে। গুম খুন, ধর্ষণ, সর্বোপরি দেশকে কারাগারে পরিণত করেছেন
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব মুহাম্মদ আতাউল্লাহ এর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক ফারুক, মাহফুজুর রহমান খান, সোহরাব হোসেন, শাকিল উজ্জামান, আবু হানিফ, সাদ্দাম হোসাইন, ব্যারিস্টার জিসান মহসিন, সহকারী আহবায়ক তামান্না ফেরদৌস শিখা, জে. আবেদীন,যুগ্ম সদস্য সচিব মশিউর রহমান, সাইফুল্লাহ হায়দার, ফাতেমা তাসনিম। ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম, যুব অধিকার পরিষদের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক তারেক রহমান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমানসহ আরো অনেকে।