ঢাকা: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি) কর্তৃক আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রেসক্লাবে বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর পুলিশের অতর্কিত হামলা ও লাঠিচার্জ।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ শেষের দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.মোশাররফ হোসেনের বক্তব্যের সময় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের অতর্কিত হামলায় নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হলে সমাবেশ পন্ড হয়ে যায়। হামলায় শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএনপির দু’জন সিনিয়র নেতা। তারা বলেন, সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন পর রাজপথে সক্রিয় হওয়ায় সরকার বিএনপির উপর আবার দমন-পীড়ন শুরু করছে। হামলা-মামলা করে শহীদ জিয়ার সৈনিকদের দমন করা যাবে না বলে সরকারকে হুশিয়ারি দেন।
সমাবেশে পুলিশের হামলায় আটক রক্তাক্ত এক কর্মীর চিৎকার দেখে এগিয়ে গিয়ে পুলিশের হাতে থেকে কর্মীকে কেড়ে নেন অবিভক্ত ঢাকার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার পুত্র, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে নির্বাচন করা ইশরাক হোসেন। ঘটনা দেখে, উপস্থিত অনেকেই তাজ্জব হয়ে যান। যেখানে পুলিশি হামলায় অনেকে নিরাপদ জায়গায় চলে যান সেখানে ইশরাক পুলিশের হাত থেকে কর্মীকে ছিনিয়ে আনেন!
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়,পুলিশের অতর্কিত হামলায় পর্যুদস্ত হয়ে নেতা-কর্মীরা দ্বিকবিদিক ছুটছে। রক্তাক্ত কর্মীর চিৎকার শুনে প্রেসক্লাবের ভিতর থেকে দৌঁড়ে এসে পুলিশের হাতে আটক ওই কর্মীকে জড়িয়ে ধরে পুলিশের হাত থেকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন ইশরাক।
যা সত্যিই এক হৃদয়বিদারক ঘটনার জন্ম দেয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে অসংখ্য মানুষ ইশরাককে সাদেক হোসেন খোকার যোগ্য পুত্র ও কর্মীবান্ধন নেতা বলে প্রশংসা করেন।