নবদূত রিপোর্ট:
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। এই নির্বাচনে গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুরের বাজির ঘোড়া সন্তন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার।
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, আমি যদি নারায়ণগঞ্জের ভোটার হতাম তাহলে অবশ্যই ভোট দিতাম তৈমুর আলমের হাতি মার্কায়। তিনি নারায়ণগঞ্জের মাটি ও মানুষের সাথে মিশে গেছেন। তাকে দিয়ে নারায়ণগঞ্জে পজিটিভ পরিবর্তন আসবে।
তিনি বলেন, আমার বিভিন্ন সোর্স থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে সুষ্ঠু ভোট হলে তৈমুর আলমের হাতি মার্কা ৬০-৮০ হাজার ব্যবধানে জিতবে। যদিও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে বেশ আশঙ্কা রয়েছে। দেখা যাক নির্বাচনের নামে কী হয়! আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা সেখানে আগে থেকে অবস্থান নিয়েছেন, যাতে প্রভাব বিস্তার করতে পারেন। ইতিমধ্যে দেওয়া তাদের বক্তব্য থেকেও এটি স্পষ্ট।
সেলিনা হায়াত আইভী নৌকা প্রতীকের কারণেই হারবেন উল্লেখ করে নুর বলেন, সেলিনা হায়াত আইভীও একজন ভালো মানুষ। তিনি দল-মত নির্বিশেষে সবার জন্য কাজ করেছেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তবুও তিনি নৌকা প্রতীকের কারণেই হারবেন। কেননা, এই নৌকা প্রতীক আওয়ামী লীগের, এই প্রতীক দেশের গণতন্ত্র হরণের। এই প্রতীক দিয়েই রাতের ভোটের মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে আছে এই সরকার।
এই দুই প্রার্থীর বাইরেও নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরো পাঁচ জন। তারা হলেন- খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।