উপমহাদেশের সর্বপ্রথম আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা কলেজ। জন্মলগ্ন (১৮৪১) থেকেই ছাত্র রাজনীতিতে বিচরণ করছে ঢাকার এই ঐতিহ্যবাহী কলেজ।
এই কলেজ থেকেই জন্ম নিয়েছে অনেক জাতীয় নেতা। যারা বর্তমান এবং অতীতে দাপটের সাথে জাতীয় রাজনৈতিক দল গুলোতে নিজেদের অবদান তুলে ধরছে।
ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ সহ সকল যৌক্তিক আন্দোলনে সবসময় রাজপথে সোচ্চার ছিল এখানকার শিক্ষার্থীরা। যারই পরিপেক্ষিতে ঢাকা কলেজের ছাত্র রাজনীতির রয়েছে আলাদা এক উজ্জ্বল গৌরব, ইতিহাস।
বর্তমান সময়ে কলেজে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন রয়েছে কিন্তু তাদের নেই বিশেষ কোনো কার্যক্রম। যেমনটা ছাত্র অধিকার পরিষদ, ছাত্রলীগ, ছাত্রদল সহ বিভিন্ন সংগঠন। কিন্তু এতো এতো সংগঠন থাকার পরেও তাদের কলেজ ক্যাম্পাস ভিত্তিক কাজ খুব কম চোখে পরে।
বাংলাদেশর সব থেকে প্রাচীন ও বড় দুই ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। তাদের কার্যক্রম ক্যাম্পাস ভিত্তিক তেমন লক্ষ্য করা না গেলে ও তাদের বেশি সময় দেখা যায় ঢাবি বা কেন্দ্রীয় কমিটি ভিত্তিক। যেখানে নিজের ক্যাম্পাসের ছাত্র রাজনীতির একটা উজ্জ্বল অতীত রয়েছে।
ঢাকা কলেজ ছাত্র রাজনীতি এমন হওয়া দরকার যেখানে ঢাবি বা কেন্দ্রীয় কমিটি ভিত্তিক কাজ না করে নিজের ক্যাম্পাস ভিত্তিক কাজ করা। কারন,ছাত্র রাজনীতি আপনি যদি আপনার ক্যাম্পাসের ছাত্রদের কাছে তুলে ধরতে পারেন তাহলেই তো ছাত্র রাজনীতির সার্থকতা পাওয়া যাবে।
তাই আমাদের উচিত হবে ছাত্র সংগঠন গুলোর ঢাবি কিংবা কেন্দ্রীয় কমিটি মুখী না হয়ে নিজ ক্যাম্পাস মুখী হওয়া। যাতে করে যেমন কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপকার পাবে ঠিক তেমনি করে নিজের ক্যাম্পাসের সার্বিক দিকও জানান দেওয়া যাবে।আপনি নেতৃত্ব দিয়ে ক্যাম্পাসকে সামনের দিকে নিয়ে যান। ক্যাম্পাস আপনাকে প্রত্যাশা থেকেও অনেক বেশি কিছু দিবে।
তাই সকল রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের প্রতি একটাই আহ্বান থাকবে,ক্যাম্পাসে রাজনীতির মাধ্যমেই নিজেকে জাতীয় রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করুন।
ইউসুফ হোসেন,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক,বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ,ঢাকা কলেজ শাখা।