নবদূত রিপোর্ট:
ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সম্মিলিত হল সম্মেলন-২০২২ এর আগে প্রত্যেক হলে কর্মীসভা করছে সংগঠনটি। এর ধারাবাহিকতায় আজ জহুরুল হক হল শাখার কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। সংগঠনটির প্রচারিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এই সভা রাত আটটায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শুরু হয়েছে রাত বারোটায়। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হলটির সাধারণ কর্মীরা।
জানা যায়, কর্মী সভার সময় রাত আটটা নির্ধারণ করা হলেও এই সময় নেতারা অন্য একটি হলের কর্মী সভাই শেষ করতে পারেননি। ফলে জহুরুল হক হলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীকে হলের গেটে গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মধ্যে অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে এবং এসব শিক্ষার্থীর মূল্যবান সময় ও ঘুম নষ্ট হয়েছে।
তাছাড়া, করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকলেও কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই চলছে এসব কর্মীসভা। ফলে করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হলের এক পদপ্রার্থী বলেন, ‘আমাদের হলের কর্মীসভা রাত আটটায় শুরু হবার কথা ছিলো। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতাদের দেরিতে আসায় সেই সভা শুরু হয়েছে রাত বারোটার পরে। নেতাদের অবহেলার কারনে আমাদের শত শত কর্মীকে এত রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এটা আসলে আমাদের জন্য বিব্রতকর একটা অবস্থা। এই অযথা ভোগান্তির কোনো মানেই হয় না। তারা আসতে পারবেন না বলে দিলেই হত। তাহলে এত এত কর্মীকে রাত জাগতে হতো না। একে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে, অপরদিকে কর্মীদের অহেতুক ভোগান্তি।’
সভা শুরু করতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন সহ অন্যান্য সাড়ে ১১টার দিকে জহুরুল হক হলে ঢুকলেও সভা শুরু করতে পারেননি। তারা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের জন্য অপেক্ষাত থাকতে হয়। পরে রাত বারোটার সামান্য আগে জয় হলে ঢুকলে তারপর সভা শুরু করেন তারা।