নবদূত রিপোর্ট:
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নিউক্লিয়াস খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হলগুলোর বহু আকাঙ্ক্ষিত হল সম্মেলন অবশেষে আগামীকাল রবিবার (৩০ জানুয়ারি) দীর্ঘ ৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) অনুষ্ঠিত হবে ১৮টি হলের সম্মিলিত হল সম্মেলন। সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে এই সম্মেলন। এই সম্মেলনের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ টি হল পাবে নতুন কমিটি।
উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী জনাব ওবায়দুল কাদের এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক জনাব লেখক ভট্টাচার্য।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখার সভাপতি বরিকুল ইসলাম বাঁধনের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি জনাব সনজিত চন্দ্র দাস এবং প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব সাদ্দাম হোসেন।
হল সম্মেলন নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। গতকাল (২৯ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় মধুর ক্যান্টিনে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে একটি বিশেষ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা। এতে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে হলের নতুন নেতৃত্বে কে কে আসবে এবং কোন মাপকাঠিতে নিয়ে আসা হবে সে বিষয়ে কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, যেসব ছাত্রনেতা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিজের ভাই-বোন মনে করে তাদের অধিকার আদায়ে রাজপথে অনড় থাকবে হলের নেতৃত্বে তাদের নিয়ে আসা হবে। ছাত্রলীগের নেতৃত্বে উড়ে এসে জুড়ে বসার সুযোগ নেই বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন সাদ্দাম হোসেন। এসময় তিনি বলেন, যারা ছাত্রলীগের ধারাবাহিক সংস্পর্শে আছে তাদের সুযোগ দেওয়া হবে।পাশাপাশি, ছাত্রনেতাদের পারিবারিক রাজনীতির বিষয়টি বিশেষ বিবেচনায় নেওয়া হবেও বলে জানান।
সম্মেলন শেষ হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কমিটি দেওয়ারও আশ্বাস দেওয়া হয় এতে। সর্বোচ্চ সাতদিনের মধ্যে কমিটি দেওয়ার ঘোষণা দেন সনজিত চন্দ্র দাস।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১৩ ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্রলীগের সবশেষ কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়। সে হিসেবে ওই কমিটির মেয়াদ ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নতুন কমিটির মুখ দেখিনি হলগুলো।
এর আগে, গত ১৫ জানুয়ারি রাতে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য হল সম্মেলনের তারিখ জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৮টি হলের ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হতে আগ্রহী ৩৩০ জন। প্রতি পদের বিপরীতে প্রত্যাশী প্রায় ১০ জন।