Thursday, December 26, 2024
Homeরাজনীতিসরকারের সুবিধাভোগীদের ইসিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে: গণঅধিকার পরিষদ

সরকারের সুবিধাভোগীদের ইসিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে: গণঅধিকার পরিষদ

নবদূত রিপোর্ট:

গত ২৬ মার্চ সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল কে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সিনিয়র সচিব মোঃ আলমগীর,সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আহসান হাবিব খান, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানাকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে ।

প্রথমত, সরকারের পছন্দসই ব্যক্তিদেরকে দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনে ভিন্নমতের রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের মতামত উপেক্ষা করে তড়িঘড়ি করে একটি পক্ষপাতদুষ্ট আইন করা হয়েছে। যা সর্বজন গ্রহনযোগ্য ছিলো না।

দ্বিতীয়ত,আওয়ামীলীগের উপকমিটির আদলে সরকারি দলের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সার্চ কমিটি বিভিন্ন ব্যক্তি ও দলের প্রস্তাবিত ৩২২ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করলেও চূড়ান্ত ১০ জনের তালিকা প্রকাশ করেনি। যা তাদের কাজের অস্বচ্ছতা প্রকাশ করে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া কাজী হাবিবুল আউয়ালের নিয়োগ, পদোন্নতি নিয়ে বিতর্কসহ অসদাচারণের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সিনিয়র সচিব মোঃ আলমগীর বিতর্কিত নুরুল হুদা কমিশনের সচিব ছিলেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান অবসরের পরও সরকারের বিশেষ সুবিধাভোগী হিসেবে বিটিআরসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান ও সরকারের সুবিধাভোগী হিসেবে সদ্য অবসরে যাওয়া এজন সচিব। যেখানে সার্চ কমিটির বৈঠকে অংশ নেওয়া বিশিষ্ট নাগরিকদের পরামর্শ ছিলো সরকারের বিশেষ সুবিধাভোগী ও সদ্য অবসরে যাওয়া কোন ব্যক্তিকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ না দেয়া, সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনের ৪ জনই সরকারের বিশেষ সুবিধাভোগী।এমনকি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে রয়েছে আইন না মানাসহ বিতর্কিত কর্মকান্ডের অভিযোগ। তাই গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক ঐক্যমতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন পুর্নগঠনের জোরালো দাবি জানাই।

২০১৪ ও ১৮ সালের একপেশে দুটি জাতীয় নির্বাচন সকলের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে, দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই রাজনৈতিক ঐক্যমতের ভিত্তিতে গণঅধিকার পরিষদ সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ‘তত্ত্ববধায়ক সরকার ‘ব্যবস্থা পুনরায় সংবিধানে অর্ন্তভুক্ত করে অবাধ,সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানায়।
সংবিধান এমন গ্রন্থ নয়, যা পরিবর্তন করা যাবে না। বরং সময়ের প্রয়োজন ও জনগণের চাহিদার আলোকে ‘গণদাবি ‘সংবিধানে অর্ন্তভুক্ত করাই সরকারের নৈতিক দায়িত্ব বলে গণঅধিকার পরিষদ মনে করে।

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানসহ ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতায় দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে দেশে স্থিতিশীল রাজনৈতিক অবস্থা ও শক্তিশালী গণতন্ত্রের বিকল্প নেই। তাই অনতিবিলম্বে সকল রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে দেশের চলমান সংকট নিরসনে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি গণঅধিকার পরিষদ উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণঅধিকার পরিষদ এর কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব নুরুলহক নুর।

RELATED ARTICLES

Most Popular