Friday, November 15, 2024
Homeআন্তর্জাতিকমঙ্গল গ্রহ: নাসার পার্সিভিয়ারেন্সের ছবিতে ফুটে উঠেছে অদ্ভূত সব দৃশ্য

মঙ্গল গ্রহ: নাসার পার্সিভিয়ারেন্সের ছবিতে ফুটে উঠেছে অদ্ভূত সব দৃশ্য

পৃথিবী থেকে যাত্রা শুরু করে সাত মাস পর মার্কিন মহাকাশ সংস্থার তৈরি গাড়ি পার্সিভিয়ারেন্স গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি মঙ্গল গ্রহে পৌঁছায়।

তারপর থেকে স্বয়ংক্রিয় এই গাড়ি থেকে ছবি তুলে পাঠানো হচ্ছে পৃথিবীতে।

নাসার মহাকাশযান যেখানে অবতরণ করেছে সেই জায়গার নাম জ্যাযেরো গহ্বর। এটি এই গ্রহের ৪৯ কিলোমিটার ব্যসের একটি বিশাল গর্ত।

এখানে দেখছেন রোভার পার্সিভিয়ারেন্স থেকে পাঠানো কিছু নির্বাচিত ছবি।

নাসার মঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব, গ্রহের গঠন প্রকৃতি এবং তার জলবায়ূর ইতিহাস সম্পর্কে গবেষণা চালাচ্ছে। একই সাথে তারা মঙ্গল থেকে পাথরও সংগ্রহ করছে।

মঙ্গলের চারিদিকে ঘুরছে নাসার যে মহাকাশযান সেখানে থেকে হাই রেজোলুশন ইমেজিং এক্সপেরিমেন্ট ক্যামেরা দিয়ে তোলা প্রথম ছবিতে দেখা যাচ্ছে রোভার পার্সিভিয়ারেন্স মঙ্গলের বুকে চড়ে বেড়াচ্ছে।
ছবির ক্যাপশান,মঙ্গলের চারিদিকে ঘুরছে নাসার যে মহাকাশযান সেখানে থেকে হাই রেজোলুশন ইমেজিং এক্সপেরিমেন্ট ক্যামেরা দিয়ে তোলা প্রথম ছবিতে দেখা যাচ্ছে রোভার পার্সিভিয়ারেন্স মঙ্গলের বুকে চড়ে বেড়াচ্ছে।
অবতরণের পর পার্সিভিয়ারেন্সের নীচের দিকে লাগানো ক্যামেরা থেকে তোলা প্রথম উচ্চমানের রঙীন ছবি।
ছবির ক্যাপশান,অবতরণের পর পার্সিভিয়ারেন্সের নীচের দিকে লাগানো ক্যামেরা থেকে তোলা প্রথম উচ্চমানের রঙীন ছবি।
মঙ্গলের বুকে নামার ছয় দিন পর তোলা ছবিতে পার্সিভিয়ারেন্সকে দেখা যাচ্ছে। রোভারটির দুই পাশে সাদা জায়গা দুটি রকেট নামার পর তার গ্যাস থেকে তৈরি হয়েছে।
ছবির ক্যাপশান,মঙ্গলের বুকে নামার ছয় দিন পর তোলা ছবিতে পার্সিভিয়ারেন্সকে দেখা যাচ্ছে। রোভারটির দুই পাশে সাদা জায়গা দুটি রকেট নামার পর তার গ্যাস থেকে তৈরি হয়েছে।
মঙ্গলের ভূপ্রকৃতি ও পরিবেশ সংক্রান্ত গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বহন করে নিয়ে যাচ্ছে পার্সিভিয়ারেন্স। যে ক্যামেরা দিয়ে এই ছবিটি তোলা হয়েছে সেটি পার্সিভিয়ারেন্সের একটি মাস্তুলের ওপর বসানো। এই ক্যামেরা দিয়ে দূর নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে গাড়িটিকে চালানো যায়।
ছবির ক্যাপশান,মঙ্গলের ভূপ্রকৃতি ও পরিবেশ সংক্রান্ত গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বহন করে নিয়ে যাচ্ছে পার্সিভিয়ারেন্স। যে ক্যামেরা দিয়ে এই ছবিটি তোলা হয়েছে সেটি পার্সিভিয়ারেন্সের একটি মাস্তুলের ওপর বসানো। এই ক্যামেরা দিয়ে দূর নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে গাড়িটিকে চালানো যায়।
পার্সিভিয়ারেন্সের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র। এখানে পিক্সল বলে একটি যন্ত্র দেখা যাচ্ছে। এটি একটি যান্ত্রিক হাত। এই হাত ব্যবহার করে বিভিন্ন বস্তুর রাসায়নিক উপাদান সম্পর্কে জানা যাবে।
ছবির ক্যাপশান,পার্সিভিয়ারেন্সের নিয়ন্ত্রণ ডেক। এখানে পিক্সল বলে একটি যন্ত্র দেখা যাচ্ছে। এটি একটি যান্ত্রিক হাত। এই হাত ব্যবহার করে বিভিন্ন বস্তুর রাসায়নিক উপাদান সম্পর্কে জানা যাবে।
পিক্সল-এর সাথে একটি ক্যামেরাও লাগানো আছে যা দিয়ে মাটি ও পাথরের ক্লোজ-আপ ছবি নেয়া সম্ভব।
ছবির ক্যাপশান,পিক্সল-এর সাথে একটি ক্যামেরাও লাগানো আছে যা দিয়ে মাটি ও পাথরের ক্লোজ-আপ ছবি নেয়া সম্ভব।
এটি মঙ্গল গ্রহের প্রথম প্যানোরামিক ছবি। পার্সিভিয়ারেন্সের চারপাশের দৃশ্য এতে ফুটে উঠেছে। রোভারের দুটি ম্যাস্টক্যাম-জেড ক্যামেরা দিয়ে ৩৬০ ডিগ্রির এই ছবিটি তোলা হয়েছে। মোট ১৪২টি ছবি একসাথে জুড়ে এই প্যানোরামিক ছবি তৈরি করা হয়েছে।
ছবির ক্যাপশান,এটি মঙ্গল গ্রহের প্রথম প্যানোরামিক ছবি। পার্সিভিয়ারেন্সের চারপাশের দৃশ্য এতে ফুটে উঠেছে। রোভারের দুটি ম্যাস্টক্যাম-জেড ক্যামেরা দিয়ে ৩৬০ ডিগ্রির এই ছবিটি তোলা হয়েছে। মোট ১৪২টি ছবি একসাথে জুড়ে এই প্যানোরামিক ছবি তৈরি করা হয়েছে।
এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে বাতাসের ঘর্ষণে ক্ষয়ে যাওয়া একটি পাথর। এই পাথরটির নাম দেয়া হয়েছে 'হারবার সিল' - সৈকতে রোদ পোহানো সামুদ্রিক সীল।
ছবির ক্যাপশান,এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে বাতাসের ঘর্ষণে ক্ষয়ে যাওয়া একটি পাথর। এই পাথরটির নাম দেয়া হয়েছে ‘হারবার সিল’ – সৈকতে রোদ পোহানো সামুদ্রিক সীল।
জ্যাযেরো গহ্বর, যেখানে পার্সিভিয়ারেন্স অবতরণ করেছে, তার চারপাশের উঁচু জায়গা। এটি বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে।
ছবির ক্যাপশান,জ্যাযেরো গহ্বর, যেখানে পার্সিভিয়ারেন্স অবতরণ করেছে, তার চারপাশের উঁচু জায়গা। এটি বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে।
পার্সিভিয়ারেন্সের ম্যাস্টক্যামে দুটি ক্যামেরা রয়েছে। বাঁ দিকের ক্যামেরা দিয়ে এই ছবিটি তোলা হয়েছে। এই দুটি ক্যামেরা এক সাথে কাজ করে এবং মানুষের চোখের মতো কাজ করে।
ছবির ক্যাপশান,পার্সিভিয়ারেন্সের ম্যাস্টক্যাম-জেড এ দুটি ক্যামেরা রয়েছে। বাঁ দিকের ক্যামেরা দিয়ে এই ছবিটি তোলা হয়েছে। এই দুটি ক্যামেরা এক সাথে কাজ করে এবং মানুষের চোখের মতো কাজ করে।
কয়েক দিন আগে তোলা মঙ্গল গ্রহের ভূপৃষ্ঠের ছবি।
ছবির ক্যাপশান,কয়েক দিন আগে তোলা মঙ্গল গ্রহের ভূপৃষ্ঠের ছবি।
ম্যাস্টক্যাম-জেড ক্যামেরা দিয়ে তোলা আরেকটি ছবি। মনে করা হচ্ছে এটি একটি প্রাচীন বদ্বীপের একাংশ। এখানে কয়েকটি পরতে মাটি তৈরি হয়েছে। মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানতে নাসার বিজ্ঞানীরা এখানেই গবেষণা চালাবেন।
ছবির ক্যাপশান,ম্যাস্টক্যাম-জেড ক্যামেরা দিয়ে তোলা আরেকটি ছবি। মনে করা হচ্ছে এটি একটি প্রাচীন বদ্বীপের একাংশ। এখানে কয়েকটি পরতে মাটি তৈরি হয়েছে। মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানতে নাসার বিজ্ঞানীরা এখানেই গবেষণা চালাবেন।
রোভার পর্সিভিয়ারেন্সের অবতরণের ছবি। এখানে কয়েকটি নায়লনের রশিতে বেঁধে পার্সিাভিয়ারেন্সকে মঙ্গলের বুকে নামানো হচ্ছে। গাড়িটির চাকা মাটি স্পর্শ করার সাথে সাথে রশিগুলো খুলে নেয়া হয়।
ছবির ক্যাপশান,রোভার পর্সিভিয়ারেন্সের অবতরণের ছবি। এখানে কয়েকটি নায়লনের রশিতে বেঁধে পার্সিাভিয়ারেন্সকে মঙ্গলের বুকে নামানো হচ্ছে। গাড়িটির চাকা মাটি স্পর্শ করার সাথে সাথে রশিগুলো খুলে নেয়া হয়।
পার্সিভিয়ারেন্সের অবতরণের সময়কার ছবি। ভূমি থেকে ১১ কি.মি. ওপরে থাকতেই মহাকাশযানের সুপারসোনিক প্যারাশুট খুলে যায়, যার ফলে ধীর গতিতে মহাকাশযানটি অবতরণ করতে পারে।
ছবির ক্যাপশান,পার্সিভিয়ারেন্সের অবতরণের সময়কার ছবি। ভূমি থেকে ১১ কি.মি. ওপরে থাকতেই মহাকাশযানের সুপারসোনিক প্যারাশুট খুলে যায়, যার ফলে ধীর গতিতে মহাকাশযানটি অবতরণ করতে পারে।
মাটি ষ্পর্শ করার আগে পার্সিভিয়ারেন্সকে বহণকারী রকেট থেকে তৈরি গ্যাসের ধাক্কায় মঙ্গলের ধুলো মাটি সরে যাচ্ছে।
ছবির ক্যাপশান,মাটি ষ্পর্শ করার আগে পার্সিভিয়ারেন্সকে বহণকারী রকেট থেকে তৈরি গ্যাসের ধাক্কায় মঙ্গলের ধুলো মাটি সরে যাচ্ছে।
জ্যাযেরো গহ্বরের আরেকটি ছবি। এটি তোলা হয় পার্সিভিয়ারেন্সের অবতরণের আগে। এই ছবির কেন্দ্র থেকে একটু বাঁয়ে এক জায়গায় রোভারটি অবতরণ করে। ডানপাশের উঁচু জায়গাটিকে মনে করা হচ্ছে একটি নদীর বদ্বীপের ভগ্নাংশ। ধারণা করা হয়, এক সময় এখানে একটি নদী ছিল, যার পানি জমা হতো ঐ গহ্বরে। পার্সিভিয়ারেন্স এখান থেকে মাটি ও পাথরের নমুনা সংগ্রহ করে কাঁচের টিউবে ভরে রাখবে। পরে কোনো এক সময় এই নমুনা বিশ্লেষণের জন্য পাঠানো হবে পৃথিবীতে।
ছবির ক্যাপশান,জ্যাযেরো গহ্বরের আরেকটি ছবি। এটি তোলা হয় পার্সিভিয়ারেন্সের অবতরণের আগে। এই ছবির কেন্দ্র থেকে একটু বাঁয়ে এক জায়গায় রোভারটি অবতরণ করে। ডানপাশের উঁচু জায়গাটিকে মনে করা হচ্ছে একটি নদীর বদ্বীপের ভগ্নাংশ। ধারণা করা হয়, এক সময় এখানে একটি নদী ছিল, যার পানি জমা হতো ঐ গহ্বরে। পার্সিভিয়ারেন্স এখান থেকে মাটি ও পাথরের নমুনা সংগ্রহ করে কাঁচের টিউবে ভরে রাখবে। পরে কোনো এক সময় এই নমুনা বিশ্লেষণের জন্য পাঠানো হবে পৃথিবীতে।

পার্সিভিয়ারেন্স কাজ করবে মঙ্গলগ্রহের সময়ে হিসেব অনুযায়ী এক বছর, পৃথিবীর সময়ে হিসেবে যা প্রায় দু্’‌বছর।

তথ্যসূত্র: বিবিসি

RELATED ARTICLES

Most Popular