বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠানে চার দেশের রাষ্ট্র প্রধান আসছেন। সরকার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ১০ দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে।
বুধবার (১০ মার্চ) সচিবালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গঠিত নিরাপত্তা বিষয়ক উপকমিটির সভা শেষে কমিটির আহ্বায়ক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আগামী ১৭ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী ধারাবাহিকভাবে অনুষ্ঠান আয়োজন হবে। সেই অনুষ্ঠানে এখন পর্যন্ত চারজন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান অংশগ্রহণ করবেন বলে আমরা জেনেছি। অনুষ্ঠানস্থলে নিরাপত্তার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন নিরাপত্তা বিষয়ক উপ-কমিটি নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
কোন কোন দেশের রাষ্ট্র প্রধান আসছেন জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী, নেপালের রাষ্ট্রপতি এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফর নিশ্চিত হয়েছে।’
এর আগেরবার যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছিলেন, তখন বিক্ষোভ হয়েছিল। এবার কী তেমন কোনো আশঙ্কা আছে কিনা- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে এই ধরণের কোনো গোপন সংবাদ নেই। এই ধরণের পরিস্থিতি হবে কিনা আমরা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। আমরা মনে করছি, সবাই বাংলাদেশকে ভালবাসে, সবাই বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসে। আমাদের জাতির পিতার উৎসবে কেউ ডিস্টার্ব করবে বলে আমারা মনে করছি না।’আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘এটা গণতান্ত্রিক দেশ, তাদের বাক স্বাধীনতা রয়েছে। কে কী বলল, সেটা তো আপনারা সবসময় দেখেন। অনেক কিছু বলে থাকে, যেটার কোনো মিনিং হয় না। আমি মনে করি এই ধরণের কোনো সিচুয়েশন হবে না। আমরা সবার সহযোগিতা চাই।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা ধানমণ্ডিতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তক অর্পনকালে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিদেশি কূটনৈতিকদের সব অনুষ্ঠানস্থলে আনা-নেয়ার সময় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।
১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে আগত রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ বিদেশি অতিথিদের সকল যাতায়াতের নিরাপদ ব্যবস্থা এবং যে হোটেলে তারা অবস্থান করবেন সেখানে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হবে। সকল অনুষ্ঠানে গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সমন্বয়ের জন্য একটি নিরাপত্তা কন্ট্রোলরুম থাকবে। তাছাড়া যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে ৯৯৯ সেবা সার্ভিস সবসময় চালু থাকবে।
সকল অনুষ্ঠানে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, প্রয়োজনীয় অ্যাম্বুলেন্সসহ ফায়ার সার্ভিস নিয়োজিত থাকবে। ইমার্জেন্সি মেডিকেল সাপোর্ট সেখানে থাকবে। বিদেশী রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা ঢাকার বাইরে যেসব অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বা পরিদর্শনে যাবেন সেখানে গোয়েন্দা নজরদারিসহ নিরাপত্তার সকল ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সময় কীভাবে যান চলাচল করবে সে বিষয়ে আগেই জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।