Saturday, November 9, 2024
Homeজাতীয়নারী দিবসে ভিপি নুরদের নতুন সংগঠন ' নারী অধিকার পরিষদ '

নারী দিবসে ভিপি নুরদের নতুন সংগঠন ‘ নারী অধিকার পরিষদ ‘

৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবসে ডাকসু’র সাবেক ভিপি নুরুলহক নুরের নেতৃত্বাধীন তারুণ্যের নতুন ধারার রাজনৈতিক অঙ্গসংগঠন হিসেবে ‘বাংলাদেশ নারী অধিকার পরিষদ ‘ এর আত্নপ্রকাশ হয়েছে।

সোমবার ৮ মার্চ আর্ন্তজাতিক নারী দিবসে ঢাকার শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ করে ‘বাংলাদেশ নারী অধিকার পরিষদ ‘।সমাবেশে ডাকসু ভিপি নুরুলহক নুর বলেন, তারুণ্যের নেতৃত্ব আমরা যে নতুন ধারার রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু করেছি তারই অংশ হিসেবে নারীদের নিয়ে আমাদের এই প্লাটফর্ম নারী অধিকার পরিষদের পথচলা শুরু হয়েছে। নারী সমাজের জাগরণে নারী অধিকার পরিষদ কাজ করবে। ইতিমধ্যেই ছাত্রদের নিয়ে আমাদের ছাত্র সংগঠন ‘ছাত্র অধিকার পরিষদ’ , যুবদের নিয়ে ‘যুব অধিকার পরিষদ ‘ , শ্রমিকদের নিয়ে ‘ শ্রমিক অধিকার পরিষদ’  ও প্রবাসীদের নিয়ে ‘ প্রবাসী অধিকার পরিষদ ‘ নামে ৪ টি অঙ্গসংগঠন গঠিত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রফেশনাল’সদের নিয়ে ‘ পেশীজীবি অধিকার পরিষদ ‘ গঠনের কাজ চলছে। এবং এ মাসেই আমাদের রাজনৈতিক দলের ঘোষণা হতে পারে।দেশের বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণে ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ, ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নারীদের অংশগ্রহণের মতো স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রয়োজন।

দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী যেখানে নারী সেখানে নারীদেরকে সমাজের মূলধারায় যুক্ত না করে দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। নারী অধিকার পরিষদকে নারীদের অধিকার আদায়ের পাশাপাশি দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে নারী জাগরণে কাজ করতে হবে।
‘ বাংলাদেশ নারী অধিকার পরিষদ ‘ এর সমন্বয়ক এ্যাড.শিরিন সুলতানা বলেন, ঘরে-বাইরে কোথাও আজ নারীর নিরাপত্তা নাই। ঘর থেকে কর্মক্ষেত্র সব জায়গাই নারীরা নিপীড়ন ও বৈষম্যের স্বীকার। নারীর অধিকার আদায়ে নারীর প্রচেষ্টার পাশাপাশি পুুুুুুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গিরও পরিবর্তন প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে নারীর সুরক্ষার জন্য রাষ্ট্রের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যেগ দরকার।ধর্ষণ, ইভটিজিংসহ সকল ধরণের  নিপীড়নের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নিতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও এ বিষয়ে আরো আন্তরিক হতে হবে। নারীরা একাই শুধু গৃহস্থালির কাজ করবে, এটা হওয়া উচিত না। পুরুষদেরও গৃহস্থালির কাজে নারীকে সহায়তা করা উচিত। নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই দেশ এগিয়ে যাবে। তাই নারীদের কাজের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। বাংলাদেশ নারী অধিকার পরিষদ নারীর মুক্তি ও নারী অধিকার আদায়ে কাজ করে যাবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাতেমা তাসনিম বলেন,দেশে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা, স্পিকার নারী হলেও সর্বত্রই নারীরা নিগৃহীত, নিপীড়নের স্বাকীর। রাজনৈতিক দলে ৩০% নারী প্রতিনিধি থাকার বাধ্যবাধকতা থাকলেও কোন দলই সেটার বাস্তবায়ন করেনি। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ এখনো অনেক পিছিয়ে। তাই নিজেদের অধিকার আদায়ে নারীদেরই জেগে উঠতে হবে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুবর্ণা আহমেদের উপস্থাপনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের যুগ্মআহ্বায়ক তারেক রহমান, নারী অধিকার পরিষদের সদস্য তামান্না ফেরদৌস শিখা, জেনী ইসরাত, হেলেনা আক্তার ও আসমা খাতুন।

RELATED ARTICLES

Most Popular