Saturday, September 21, 2024
Homeশিক্ষাঙ্গনসাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন

সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন

নবদূত রিপোর্ট:

সারাদেশে সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে ‘সাম্প্রদায়িকতা রুখে দাঁড়াও, সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ো’ শীর্ষক মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়(ঢাবি) শিক্ষক সমিতি।

মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংহতি প্রকাশ করে বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলসহ বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, মাঝে মধ্যে বাংলাদেশের মতো অসাম্প্রদায়িক, সম্প্রীতির দেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠে বিভিন্ন ঘটনা সৃষ্টি করে যা আমাদের জাতির জন্য খুবই দূর্ভাগ্য ও দুঃখজনক। দুঃখজনক হলেও সত্যি এ ধরনের অপশক্তি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সুযোগ নিয়ে মাথাচাড়া দিয়ে উঠে আমরা যে সম্প্রীতির বন্ধনে আমরা থাকি তা বিনষ্ট করে যা কোনো ভাবেই কাম্য নয়।

তিনি আরো বলেন, সরকারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনি তদন্ত করে এই ঘটনাগুলো কারা ঘটিয়েছে তা চিহ্নিত করে তাদের শাস্তি দেওয়া এখন জরুরি কাজ। এটি যদি না করা হয় তাহলে ভবিষ্যতেও নানা সময়ে নানা সুযোগে এই অপশক্তি আমাদের অসাম্প্রদায়িক, সম্প্রীতির বন্ধনকে নষ্ট করার অপতৎপরতায় লিপ্ত হবে।

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, আমাদের সংবিধানে যে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ একটি বিষয় ছিল, সেটিকে আমরা খণ্ডন করেছি। দু’জন সেনা শাসক বারবার পরিবর্তন করে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা, প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনা, নারী-পুরুষের মধ্যে যে সাম্য সেটিকে আমরা পেছনে ফেলে দিয়েছিল। পরবর্তীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ধর্মনিরপেক্ষতা ফিরিয়ে আনলেও তা আমরা তাত্ত্বিকভাবে ফিরিয়েছি, কিন্তু বাস্তবে ফেরাতে পারিনি। বাস্তবে প্রয়োগ না থাকার কারণে এই ঘটনাগুলো ঘটছে।

সাদা দলের আহবায়ক ও শিক্ষক সমিতির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. লুৎফর রহমান বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর আমাদেরকে এখানে দাড়াতে হয়েছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের প্রতিবাদে। এতদিন পরেও আমরা আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে পারিনি, এই ব্যার্থতার দায় যাদের ওপর বর্তায় তারা এসব এড়াতে পারে না। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, এসব ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তদন্তের মাধ্যমে তাদের শাস্তি দিয়ে এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহ বলেন, যা কিছু ঘটছে, তা একটি অশনিসঙ্কেত। সর্ষের মধ্যে ভূত রয়েছে। এই সর্ষে হচ্ছে রাজনীতি ও অর্থনীতি। এই ঘটনার পরও এখনও কোনো তদন্ত কমিটি গঠন হয়নি। এখনও সেখানে ধ্বংসস্তুপ রয়েছে সেখানে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। যা কিছু হয়েছে, তা যেন আর না ঘটে। এই ঘটনার দ্রুত বিচার করতে হবে, দোষীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। যেন বিচারের বাণী নিভৃতে না কাঁদে।

RELATED ARTICLES

Most Popular