Monday, December 23, 2024
Homeসারাদেশযশোরের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে নাই ওষুধ ও পর্যাপ্ত সেবা

যশোরের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে নাই ওষুধ ও পর্যাপ্ত সেবা

নবদূত রিপোর্টঃ

যশোর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অবস্থিত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ পেতে ভোগান্তি বেড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষের। এমন অভিযোগ সদরসহ প্রায় সব উপজেলা থেকে পাওয়া গেছে।

জেলার অভয়নগর উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতেও একই অবস্থা, নেই পর্যাপ্ত ওষুধ। কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা।

যশোরের আটটি উপজেলার
প্রান্তিক পর্যায়ে গ্রামীন জনগোষ্ঠিকে প্রকৃত স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এমনিভাবে সারাদেশের ন্যায় যশোরের অভয়নগরের বিভিন্ন জনগুরুত্বপুর্ন এলাকায় মোট ২৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এসব ক্লিনিকের মাধ্যমে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, প্রজনন স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা সেবা, টিকাদান কর্মসূচি, পুষ্টি, স্বাস্থ্য শিক্ষা, পরামর্শসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কথা। অথচ অসুস্থ হয়ে এসব কমিউনিটি ক্লিনিকে আসলে পাওয়া যায়না প্রয়োজনীয় ওষুধসহ চিকিৎসা সেবা।


শুধু তাইনা দায়িত্ব প্রাপ্ত কমিউনিটি কেয়ার প্রোভাইডারদের অবহেলায় কাঙ্খিত সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে রোগী সাধারণ, এমনটাই জানিয়েছেন ভুক্তোভোগীরা। শনিবার অভয়নগরের বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে ও সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে এসব চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।
জানা যায়, গ্রামের খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের মৌলিক অধিকার চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তির সর্বশেষ ঠিকানা এসব কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো সময় মত খোলা হয়না। যেখানে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত খোলা রাখার কথা, সেখানে ক্লিনিকের স্টাফরা সময় মত আসেন না, যান নির্দিষ্ট সময়ের আগেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী নারী বলেন, ২ কিলোমিটার পায়ে হেটে গিয়ে দেখা যায়, অনেক সময় ডাক্তার নেই। থাকলেও নানা কারণ দেখিয়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়না। আগে কমিউনিটি হাসপাতালে যেতাম এখন যাইনা, কারণ ওষুধ চাইলেই বলে নেই।


কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো পর্যাপ্ত ওষুধ সংকটের কথা স্বীকার করে চলিশিয়া ইউনিয়নের কোটা কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেল্থ প্রোভাইডার সাবিহা বেগম জানান, আমরা আমাদের সাধ্যমত রোগীদেরকে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি। এদিকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ওয়াহিদুজ্জামান বলেছেন ভিন্ন কথা। তিনি জানান, ৩৬ পদের ওষুধ কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে প্রদান করা হয়, যা হাসপাতালের চেয়েও বেশি।সাধারণ মানুষের নানা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানুষের অভিযোগ থাকবে, তবে দায়িত্ব পালনে কেউ অবহেলা করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্থানীয় ব্যাবস্থাপনার কারণে রোগীদের স্বাস্থসেবা বিঘ্নিত হতে পারে। এসব বিষয়ে আমরা খোঁজ খবর নেব। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির আশা করছেন অভয়নগর উপজেলার প্রান্তিক জনসাধারণ।

RELATED ARTICLES

Most Popular