নবদূত রিপোর্টঃ
লালমনিরহাটে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর উপর হামলা ও জোরপূর্বক সম্পত্তি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের ঢাকনাই কুড়ারপাড় এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আজগার আলীর স্ত্রী জাহেদা বেগমের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে জোর পুর্বক সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত মোফাজ্জল হোসেন (৩০) আশরাফ আলী (৪৫) আশিক মিয়া (২৫) মোর্শেদা বেগম (৩৫) দীর্ঘ দিন থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আজগার আলী স্ত্রী জাহেদা বেগমের সম্পত্তি বেদখল করার চেষ্টা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় অভিযুক্তরা হাতে ধারালো ছোরা, লাঠি সহ দলবদ্ধ ভাবে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে প্রবেশ করে বাড়িতে মারপিট শুরু করে এবং ১নং অভিযুক্ত মোফাজ্জল হোসেন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর বুকে ছোরা ধরে ৩ টি নন জুডিসিয়াল স্টাম্পে সই করতে বলে এবং দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে নিরুপায় হয়ে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ফাঁকা স্টাম্পে সই করে শোকেজের ড্রয়ারে রাখা ৯০ হাজার টাকা অভিযুক্ত মোফাজ্জল হোসেনের হাতে প্রদান করে। এতে মোফাজ্জল আরো ক্ষিপ্ত হয়ে হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে জাহেদা বেগমের মাথায় ডাং মারে। এরপর ২ নং অভিযুক্ত আশরাফ আলী জাহেদা বেগমের ডান কাধে ডাং মারে এতে তার ডান কাধের হাড় ভেঙ্গে যায়। এসময় ৩ নং অভিযুক্ত আশিক মিয়া জাহেদা বেগমের গলা চিপে ধরে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে ৪ নং অভিযুক্ত মোর্শেদা বেগম জাহেদা বেগমের কাপর টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানি ঘটায়।
জাহেদা বেগম নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য ৯৯৯ এ কল করলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এতে অভিযুক্তরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের সামনে ও মোবাইল ফোনে জাহেদা বেগমের ছেলে জহাঙ্গীর আলম বাবুকে মৃত্যুর হুমকী প্রদান করে।
মুক্তিযোদ্ধা আজগার আলীর স্ত্রী জাহেদা বেগম বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আমারা আসা করি উপযুক্ত বিচার পাবো।
অভিযুক্তদের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ব্যার্থ হয় এই প্রতিবেদক।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শাহ আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।