জেলা প্রতিনিধি, যশোর :
যশোরের ভবদহ জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানে টিআরএম চালুর দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি।
০৭ মে শনিবার দুুপুরে ভবদহ স্লুইচগেটে এক সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ দাবি করেন সরকার ভবদহ অঞ্চলের নদী ও জনপদবাসীকে ডুবিয়ে মারার স্থায়ী ব্যবস্থা করার নীতি গ্রহণ করেছে। যে কারণে পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী বাঁচানোর পরিবর্তে নদীকে হত্যা করছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা ইকবাল কবীর জাহিদ।
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের গৃহীত ডেল্টা প্লান-১০০ ঘোষণায় ভবদহ
এলাকার জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানে সুষ্পষ্টভাবে বলা রয়েছে ‘পরিকল্পিত জোয়ারাধার (টিআরএম) বাস্তবায়নের কথা।
টিআরএম কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার কারণে হরি নদীতে ব্যাপক হারে পলি
জমা হয়। এতে করে জলাবদ্ধতা স্থায়ী রুপ নেয়। আর পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন প্রকল্পের নামে অর্থ তছরূপ শুরু করে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, যেখানে টিআরএম ছাড়া বিকল্প নেই, সেখানে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পানি সেচ প্রকল্প গ্রহণ করে কোটি কোটি টাকা তছরূপ ও জনপদের মানুষের শত শত কোটি টাকার
ফসল, বসতবাড়ি নষ্ট ও মানবিক বিপর্যয়ের স্থায়ী ব্যবস্থা করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। গত মৌসুমে সেচের মাধ্যমে ব্যাপক ফসল উদপাদনের কথা বললেও প্রকৃতপক্ষে ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে ফসল হয়নি। সেইসাথে হরি নদী নাব্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলা হলেও তাতে মিথ্যা বলে সরজমিনে দেখানো হয়। তাছাড়া এখনো বিলগুলি পানির তলে।
অনেক স্কুল ও বসতবাড়ি জলাবদ্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয়রা ৪৫ কোটি টাকার সেচ প্রকল্প বাতিল করার জন্য মতামত দিয়েছে। কিন্তুজনগণের মতামত উপেক্ষা করে আবারো ৩ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার পাম্প স্থাপনের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এবং ৪৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত প্রকল্প অনুমোদনের পায়তারা চলছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী গণস্বার্থবিরোধী ও সরকারকে বিভ্রান্ত করতে প্রধান ভূমিকা পালন করছে। এজন্য সংবাদ সম্মেলন থেকে তার অপসারণ ও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের আহবায়ক রণজিত বাওয়ালী, সদস্য সচিব অধ্যাপক অনিল বিশ্বাস বক্তব্য রাখেন। এসময় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিলাল মাহিনী
যশোর