জেলা প্রতিনিধি, যশোর :
যশোরে রহিমা খাতুন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামী জাকির বিশ্বাসকে আটক করেছে পুলিশ।
আর এই হত্যাকাণ্ডের একমাত্র আসামি জাকিরকে আটক করতে যশোর কোতোয়ালী থানার এসআই তাপস মণ্ডল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ট্টেনে ট্রেনে ফেরিওয়ালা সেজে কখনো বাদাম ও মোবাইলের হেডফোন বিক্রি করতে হয়েছে।
অবশেষে রবিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় কোটচাঁদপুর রেলস্টেশন থেকে তাকে আটক করেন। এসআই তাপশ মণ্ডল জানান, গত বছর ১৩ ডিসেম্বর যশোর পুরাতন কসবা এলাকায় নিজ বাসায় খুন হয় রহিমা বেগম (৪২) নামে একজন নারী। এঘটনায় নিহতে আগের পক্ষের ছেলে হাসানুজ্জান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামালা নং (৪০,/১৬.১২) করেন।
মামলাটিতে আসামি করা হয় রহিমার দ্বিতীয় স্বামী জাকির বিশ্বাসকে। পুলিশ মাঠে নামে জাকিরকে গ্রেফতার করতে। জাকির হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়ে কৌশলে বেনাপোলের সাদিপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যায়। এসআই তাপস মণ্ডল নাছোড় বান্দা লেগে থাকে জাকিরের বিষয় বিস্তারিত জানতে। এরপর জাকির দেশে এসে বিভিন্ন মাজারে মাজারে অবস্থান নেয়। এর পরে জাকির বিশ্বাস ট্রেনে ফেরি করে বাদাম বিক্রি শুরু করে। তাকে ধরতে এসআই তাপশ ও ফেরি ওয়ালা সেজে তার পিছু নেয়।
গত তিনদিন আগে যশোর-রাজশাহীগামী ট্রেনে জাকিরকে পেয়েও অল্পের জন্য পালিয়ে যায়। অবশেষে রবিবার সন্ধ্যায় এসআই তাপশ মণ্ডল কোটচাঁদপুর রেলস্টেশন থেকে তাকে আটক করে যশোরে নিয়ে আসেন।
কোতোয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, স্ত্রী রহিমাকে জাকির খুন করার কারণ জাকিরকে সন্দেহ করে স্ত্রী রহিমা পরকীয়া করতো। ১৬১ ধারায় জবানবন্ধিমূলক স্বীকারোক্তি দিয়েছে। সে আদালতে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকার করবে বলে জানিয়েছে জাকির। তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।