ভূমি অধিদপ্তরের অধীন সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলোতে কাগজের ভলিউমে দলিল রেজিস্ট্রির পরিবর্তে অনলাইনে দলিল রেজিস্ট্রি ও রেকর্ড সংরক্ষণের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।এটি বাস্তবায়নে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্দেশনায় ‘ভূমি নিবন্ধন ব্যবস্থাপনা ডিজিটাইজেশনে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্প’ শিরোনামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে এক কোটি ৬০ লাখ ৩২ হাজার টাকা।এর আওতায় প্রাথমিকভাবে সারা দেশের ১৭টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ চলবে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জমির মালিকানা, খতিয়ান, জাতীয় পরিচয়পত্র ইত্যাদি অনলাইনে অটোমেটিক যাচাই হবে এবং বায়োমেট্রিক টিপ গ্রহণ করে দলিল অনলাইনে রেজিস্ট্রি ও রেকর্ড সংরক্ষণ করা যাবে।
এরই ধারাবাহিকতায় সারা দেশের মতো যশোর জেলা ও অভয়নগরেও চলছে অনলাইনে ভূমি নিবন্ধন।
যেকোনো কম্পিউটার বা অনলাইন দোকান থেকেও প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে করা যাবে ভূমি নিবন্ধন। সাধারণের হাতে থাকা এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন দিয়েও সম্ভব এই ভূমি নিবন্ধন কার্যক্রম। তার জন্য প্রয়োজন – মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয় পত্র,পাসপোর্ট সাইজের (১)এক কপি ছবি,খতিয়ানের ফটোকপি, সর্বশেষ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের দাখিলার কপি।
অভয়নগরের বাঘুটিয়া ইউনিয়ন ভুমি কর্মকতা মোল্যা মফিজুর রহমান জানান,হ্যান্ডসেট বা যে কোনো কম্পিউটার দোকান থেকে প্রাথমিক নিবন্ধন ও তথ্য দেয়ার পর ভূমি অফিস থেকে যাচাই বাছাই সাপেক্ষে সাবমিট দেয়া হবে।
অনলাইন পোর্টাল ট্রু নিউজের নির্বাহী সম্পাদক এবং অত্র ইউনিয়ন এর বাসিন্দা সাংবাদিক বিলাল মাহিনী জানান, ‘সরকারকে ধন্যবাদ ভূমি নিবন্ধন কার্যক্রম অনলাইন করার জন্য। তিনি বলেন, আমি নিজেই নিজের স্মার্ট ফোনের সাহায্যে নিজের জমির অনলাইন নিবন্ধন সম্পন্ন করেছি।
www.ldtax.gov.bd এই ওয়েব সাইটে ঢুকে নিজ মোবাইল নম্বর এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর দিয়ে অনলাইন নিবন্ধন সম্পন্ন করা যাবে। এরপর প্রদত্ত মোবাইল নম্বরে ওটিপির ৬ ডিজিটের নম্বর এবং নিজের মতো একটি গোপন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করলে আইডি তৈরি হবে। এরপর জমির খতিয়ানে বর্নিত তথ্য দিয়ে সেটা সংরক্ষণ করতে হবে।
সর্বশেষ ইউনিয়ন ভূমি অফিস যাচাই বাছাই সাপেক্ষে সাবমিট দিলে নিবন্ধন সম্পন্ন হবে।
ভূমি নিবন্ধন না করলে পরবর্তীতে আর এনাগল সিস্টেমে অর্থাৎ কাগজে লেখা ভূমি কর পরিশোধ পত্র পাওয়া যাবে না।