Saturday, September 21, 2024
Homeশিক্ষাঙ্গনছাত্রলীগের ব্যানারে বুয়েটে সভা, সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ছাত্রলীগের ব্যানারে বুয়েটে সভা, সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শনিবার (১৩ আগস্ট) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ক্যাফেটেরিয়ায় ছাত্রলীগের ব্যানারে আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করেছে বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ। আবরার ফাহাদ হত্যার পর বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ। সেই সুত্র ধরে ছাত্রলীগের এই কর্মসূচির প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ  রাজনৈতিক সভা নয় বরং বঙ্গবন্ধুর জন্য দোয়ার সভা বলে দাবি করলে,শিক্ষার্থীদের জানতে চান ছাত্রলীগের ব্যানারে কেন। শনিবার বিকাল ৫টা থেকে শুরু হয়ে প্রোগ্রাম চলে রাত সোয়া ৮টা পর্যন্ত চলে। এরআগে সন্ধ্যা ৭টা থেকে বিক্ষোভকারী ক্যাফেটেরিয়ার সামনে একত্রিত হতে থাকে। এরপর প্রোগ্রাম শেষে সাবেক বুয়েটে ছাত্রলীগ নেতারা বের হলে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ‘আবরারের রক্ত বৃথা যেতে দিবো না’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দিবো না’, ‘রাজনীতির ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না!’ -বলে শ্লোগান দিতে থাকে। 

প্রোগ্রাম শেষে বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাল মাহমুদ বিক্ষু্ব্ধ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এটা কোনো রাজনৈতিক প্রোগ্রাম নয়। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে তার জন্য দোয়ার প্রোগ্রাম৷ এসময় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সমস্বরে বলে উঠে, তাহলে ছাত্রলীগের ব্যানারে কেন? আপনাদের বুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবেও করতে পারতেন!

সাবেক ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ ক্যাম্পাস ত্যাগ করলে শিক্ষার্থীরা প্রেস ব্রিফিং করেন। এসময় তারা বলেন, বুয়েট ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে নিরীহ শিক্ষার্থীদের বারবার প্রাণ ঝরেছে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র সংগঠনগুলোর অপকর্মে। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর তৎকালীন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নৃশংস অত্যাচারে আবরার ফাহাদ নিহত হন। এর প্রতিবাদে বুয়েটের সকল সাধারণ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কার্যক্রম কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে নিষিদ্ধ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা সত্ত্বেও আজ ১৩ আগস্ট, ২০২২ তারিখে সেমিনার হল বুয়েট অডিটোরিয়াম কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বুয়েটের সাবেক নেতৃবৃন্দ দের আয়োজনে একটি ব্যানার দেখা যায়।

শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, ইতঃপূর্বে ২ জুলাই, ২০২২ তারিখ অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হলে আরিফ রায়হান দিপের স্মৃতিফলকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং ৮ জুন, ২০২২ তারিখ সাবেকুন নাহার সনি-র স্মৃতিফলকে বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে ব্যানার টানানো হয়। ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও অত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র সংগঠনের বারবার নিজেদের উপস্থিতি জানিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি পাওয়ায় বুয়েট কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। এহেন কার্যক্রমের ব্যাপারে আমরা, বুয়েটের সকল সাধারণ শিক্ষার্থী, কর্তৃপক্ষের অবস্থান এবং সুপষ্ট জবাব আশা করছি।

RELATED ARTICLES

Most Popular