জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শহিদ মিনারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতাকর্মীরা।
সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে বুয়েটের শহীদ মিনারের পাশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা। এসময় বুয়েটের সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের পাশাপাশি বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদেরও দেখা যায়।
এ সময় তারা ‘শিবিরের আস্তানা, এই বুয়েটে হবে না ; একটা একটা শিবির ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর ; শিবিরের বিরুদ্ধে, লড়াই হবে একসাথে; এক নেতার এক দেশ, শেখ মুজিবের বাংলােদেশ’ স্লোগান দেন।
বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিব আহমেদ মুরাদ বলেন, জামায়াত-শিবির ও মৌলবাদী গোষ্ঠী এখানে আস্তানা গড়প তুলেছে। আমরা থাকতে এই আস্তানা ফুলে ফলে গড়ে উঠতে দিবো না। গত ১৩ তারিখ আমাদের সাথে যে আচরণ করা হয়েছে তা খুবই হতাশাজনক। তারা কখনো সাধারণ শিক্ষার্থী নয়৷ তারা সাধারণ শিক্ষার্থী সেজে বুয়েটকে ধ্বংসের দিকে ঠেল দিতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে মৌলবাদী গোষ্ঠীর কর্ম নিয়ে সচেতন হয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান এই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা৷
আরেক সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, আমরা বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী। একইসাথে ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী। যার জন্ম না হলে এইদেশ আমরা পেতাম না তার শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা যেকোনো ধরণের প্রোগ্রাম যেকোনো জায়গায় করার অধিকার আছে। কেউ যদি বাঁধা দেয় তাহলে আমাদের বুঝে নিতে হবে তারা জামায়াত-শিবির ছাড়া কেউ নয়। যারা বাংলাদেশ চায় না, এইদেশকে পাকিস্তান বানাতে চায় তারাই বাংলাদেশকে অস্বীকার করে ; জাতির পিতাকে অস্বীকার করে। আমরা যখন প্রোগ্রাম করি তখন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে মাঠে নামানো হয়।
এদিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধিদলও প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সাইফ বাবু, সৈয়দ আরিফ মাজহারুল ইসলাম শামীম, সাংগাঠনিক সম্পাদক বরিকুল ইসলাম বাঁধন, মুজাহিদুল ইসলাম সোহাগ, ধর্ম সম্পাদক তুহিন রেজা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা শাহেদ খান, আরিফ হোসেন রিফাত, ফয়সাল মাহমুদ,ফারহানা, রাহীম সরককারসহ প্রায় অর্ধশত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।