Friday, November 15, 2024
Homeশিক্ষাঙ্গনঢাবিতে জাতীয় কবির ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

ঢাবিতে জাতীয় কবির ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অসাধারণ সাহিত্য সম্ভার ও সৃষ্টিকর্ম আমাদের অমূল্য সম্পদ। সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সাম্প্রদায়িকতা, অমানবিকতা, অন্যায়, অত্যাচার, নির্যাতন, নিষ্ঠুরতা ও অশুভ শক্তি মোকাবিলায় কবি নজরুলের প্রাসঙ্গিকতা সবসময় রয়েছে। তিনি আমাদের অফুরান প্রেরণার উৎস। তাঁর দর্শন ও চেতনা সব শ্রেণির মানুষকে সর্বদা অনুপ্রাণিত করে।

শনিবার (২৭ আগস্ট) কবির সমাধি প্রাঙ্গণে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য এসব কথা বলেন।

উপাচার্য কবি কাজী নজরুলের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবি কাজী নজরুলকে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে এনে জাতীয় কবির মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে যথার্থভাবে সম্মানিত করেছেন। তাই কবি নজরুলের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সাথে সাথে বঙ্গবন্ধুর নাম চলে আসে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন অসাম্প্রদায়িক, মানবিক, সাম্য ও প্রেমের কবি। তিনি নজরুলের অনবদ্য সৃষ্টিসমূহের নিয়মিত চর্চা ও গবেষণা কার্যক্রম আরও বেগবান করার জন্য শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

আলোচনা সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম (সিরাজ সালেকীন) বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তব্য প্রদান করেন। বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. ভীষ্মদেব চৌধুরী এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হক।

এর আগে কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সকাল ৭:১৫টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ শোভাযাত্রা সহকারে কবির সমাধিতে গমন, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করেন। এছাড়া, বাদ ফজর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিয়া’য় কোরানখানি অনুষ্ঠিত হয়।

RELATED ARTICLES

Most Popular